বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : ইসলাম শুধুমাত্র কতিপয় আনুষ্ঠানিক ইবাদতের নাম নয় বরং জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট চমৎকার শিক্ষা ও শিষ্টাচার রয়েছে। নিম্নে কতিপয় শিষ্টাচার উল্লেখ করা হলো।
১, সুন্দর করে কথা বলা।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা সুন্দর করে কথা বল।
তোমরা নরম ভাষায় কথা বল।
তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথা বলতেন প্রতিটা শব্দ বাক্য স্পষ্ট করে উচ্চারণ করতেন যাতে শ্রোতারা সহজে বুঝতে পারে।
২, বিনয় ও নম্র আচরণ করা।
বিনয় ও নম্র আচরণ মানব চরিত্রের ভূষণ। রূঢ়তা ও কর্কশতা পরিহার করা।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণী।
আল্লাহর রহমতে আপনি মানুষের সাথে বিনয়ের সাথে নম্র ভদ্র আচরণ করুন। যদি আপনি রুঢ় ও কর্কশ গলায় কথা বলেন, সবাই আপনার থেকে দুরে চলে যাবে।
৩, ক্ষমাশীলতা।
ক্ষমাশীলতা মানব চরিত্রের অন্যতম অনুষঙ্গ। অন্যের আচরণে দুঃখ কষ্ট সহ্য করে উদারতা ও ক্ষমাশীল আচরণ করা।
৪, সর্বদা হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করা।
৫, অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শোনা।
৬, কারো গোপনীয়তা রক্ষা করা।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে মানুষের দোষ গোপন রাখে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ত্রুটি গোপন রাখবেন।
৭, কাউকে কষ্ট না দেয়া।
কথা,কাজ বা আচরণ দ্বারা কাউকে কষ্ট না দেয়া।
৮, মেহমানদারি করা।
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানী,
তোমরা বেশি বেশি সালাম দাও, মানুষ কে আপ্যায়ন করো, তাহলে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
৯, বড়দেরকে শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করা।
১০,সহজ সরল জীবনযাপন করা।
আল্লাহর বিধান মানার পাশাপাশি এই দশটি শিষ্টাচার মেনে পারলে একজন যোগ্য দক্ষ ও ভালো মানুষ হওয়া সম্ভব।
লেখক : হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল হালীম আযহারী।খতীব আল হেরা জামে মসজিদ,পূর্ব শেখদি,যাত্রাবাড়ী