লন্ডন থেকে এম এ হোসেইন : ২০২০ সালের পর ব্রেক্সিট ও করোনার ধকল শেষে বাংলাদেশ থেকে ইউ কে তে স্টুডেন্ট কিংবা কেয়ার ভিসায় এসে এসাইলাম কিংবা সুইচিং/ডিভোর্স মেরে ব্রিটিশ হোম অফিসকে বোকা বানানো ইমিগ্রান্টরা বেশিরভাগই অলরেডি অবৈধ অভিবাসী হয়ে গেছেন।কারণ এখন সকল এসাইলাম ও পেন্ডিং আপীলগুলো আল্ট্রাফাস্ট গতিতে ডিসমিস করে সকলকে ডানাভাংগা পাখিতে রুপান্তরিত করছে হোম অফিস।এখন আর আগের মত এসাইলাম কিংবা আপীল বছের পর বছর পেন্ডিং থাকে না। বর্তমানে নতুন এসাইলামও সর্বোচ্চ ৩/৪ মাসের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে।তাই এখানে ১ বছর এসাইলাম ক্লেইম টিকিয়ে রেখে কাজের পারমিশনের স্বপ্ন দেখাই এখন হাস্যকর।
এদিকে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট মালিকদের নতুন ব্যবসার ওয়ার্কপারমিট স্পন্সর লাইসেন্স এখন হেভীরিস্কে ।কারণ এখন একযোগে প্রচুর সাড়াঁশি অভিযান চলছে ও সেই সাথে লাইসেন্স কেড়ে নিচ্ছে হোম অফিস।কারণ হোম অফিস অলরেডি জেনে গেছে তাদের ওয়ার্ক পারমিট ব্যবসার কথা ।হোম অফিস এও জানে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট মালিকরা লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজেদের আত্নীয় স্বজনদেরই এনেছে ওয়ার্ক পার্মিটের নামে।
আপনারা জানেন যে ইউ কে র বেনিফিটখোর কামলা ও TaxFraud এর স্বর্গরাজ্য হল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট।সুতরাং যারা Tax মারার জন্য ক্যাশ মানি লুকিয়ে ব্যবসা কম দেখায় তাদের স্পন্সর লাইসেন্স কি করে টিকবে?এখন প্রতিটি সাড়াঁশি অভিযানে এগুলা ভালভাবে চেক করা হচ্ছে ।
সুতরাং সকল ফ্রডের খবর ভালভাবে জেনেই লাইসেন্স দিয়েছিল হোম অফিস ।কারণ কনজারভেটিভ সরকার Bexit ও করোনার ইনফেকসনের পর ব্রিটিশ অর্থনীতি চাংগা করতেই তারা জেনে শুনেই ইমিগ্রান্ট আসতে দিয়েছে।এখন তাদের অর্থনীতি চাংগা তাই ইমিগ্রান্টদের দরকার নাই।তাই ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশন আইনের হালুয়া টাইট/সাড়াঁশি অভিযান /লাইসেন্স কেন্সেল।এটাই হল ব্রিটিশদের চিকনা বুদ্ধি!
তাই অতীতে ফিরে থাকালে দেখা যাবে ২০০৯/১০ সালে স্টুডেন্ট ভিসা কলেজের লাইসেন্স ৩/৪ বছরের ভিতরে ৮৮% এরও বেশি রিভোক করে সকলকে দেশে ফেরত কিংবা ব্রিটেন ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে ব্রিটিশ মহাচালাক সরকার।
আর এসাইলাম হল ব্রিটিশদের লোকদেখানো তথাকথিত মানবিকতার ব্যবসা ।এরা এসাইলাম বা আশ্রয়ের লোভ দেখিয়ে পয়সা বানায় ।সেই পয়সা দিয়ে তারা তাদের পছন্দের কিছু তাবেদারী করা রাস্ট্রের লোকদের এসাইলাম দেয় এবং তাদের সাপোর্ট করে।
তাই সকলকে বলছি এখন Must be Legal/Must have work Right/ না খুজে স্টাফ ধরে রাখুন যদি আগামীতে স্টাফের জন্য হাহাকার করতে না চান ।
কারণ সকল ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের ওয়ার্ক পারমিট স্পন্সর লাইসেন্স এমনিতেই টিকবে না।যদিও কতিপয় লাইসেন্স টিকে(সম্ভাবনা খুবই কম) তাহলে তা কলাপাতা হিসেবেই রাখতে হবে।কারণ উচ্চ বেতনে নিয়োগ সহ কঠোর ইমিগ্রেশন আইনের কারণে তা ব্যবহার করে বিদেশী স্টাফ নিয়োগ সম্ভব হবে না। তাই লাইসেন্স টিকানোর নামে লিগ্যাল স্টাফ খুজা বন্ধ করে স্টাফ ধরে রাখুন।লাইসেন্স অবশ্যই একদিন থাকবে না কিন্তু ব্যবসা চালাতে হলে স্টাফ লাগবেই।
অলরেডি অবৈধ হয়ে যাওয়া স্টাফরা ধরা খেয়ে দেশের পথে কিংবা লড়িতে করে ইউরোপো পালাতে শুরু করেছে ।তাই সকলে সময় থাকতে সাবধান হোন॥॥