বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে বৈঠক বসে খুলনা সদর উপজেলার বসুপাড়ার দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি। সেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ মাদ্রাসায় আনা ও নির্দিষ্ট স্থানে দাফন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জীবদ্দশায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওসিয়ত অনুযায়ী তার মরদেহ দাফনের জন্য এ মাদ্রাসায় জায়গা নির্দিষ্ট রয়েছে।
দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদের পেশ ইমাম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও স্ত্রীর ওসিয়ত অনুযায়ী এ মাদ্রাসায় তাদের মরদেহ দাফনের জন্য জায়গা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা আছে। তাই তার মৃত্যুর খবর পেয়ে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জরুরি বৈঠকে বসেন।”
তিনি বলেন, “সাঈদীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। খবর পেয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি ঢাকায় আসার পর খুলনায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। আলোচনা ও সকল পর্যায়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি-বিডি) ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
সাঈদীকে ছয়টি গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং সর্বোচ্চ আদালত হত্যা, ধর্ষণ এবং বেশ কয়েকজন হিন্দুকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করাসহ তিনটি অপরাধের সাজা বহাল রেখে রায় দেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে এবং একই বছর সাঈদীকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।