1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেখদীতে তীব্র গ্যাস সংকটে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, রায়েরবাগ গ্যাস অফিস ঘেরাওয়ের ঘোষণা সরকার কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করছে- স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত: ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ভান্ডারিয়ায় সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রার্থনা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনির্মাণ সভা অনুষ্ঠিত এই সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ তারেক রহমানের সতর্কবার্তা: “সামনের সময় কঠিন, ষড়যন্ত্র রুখতে গণতন্ত্রই পথ” খালেদা জিয়াকে দেখতে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ডা. জুবাইদা রহমান ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা রূপগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুর: চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের সাফল্য

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন এড. আনিসুর রহমান দীপু

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৭২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে বিভিন্ন সংস্থার আয়োজনে বেশ কয়েকটি ইফতার পার্টি হয়ে গেল ইতিমধ্যে। আয়োজকেরা বিতর্কিত সাংসদ শামীম ওসমান ও নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের একই টেবিলে বসার ব্যবস্থা করেছিলেন। হয়তো কারো পরামর্শ মোতাবেক এই ব্যবস্থা করেন, যাতে করে ২ বৈরী ব্যক্তিত্বের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমে আসে। চিন্তা ভাবনা ভালো কিন্তু এই দূরত্ব মুছে ফেলা কি আদৌ সম্ভব!!!! এই আলোচনায় যেতে হলে ফিরতে হবে নাসিক নির্বাচন সময়কালে। এই নির্বাচনে ডাঃ আইভি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এড. তৈমুর-কে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এই বিজয় ছিল ডাঃ আইভি’র ধারাবাহিক তৃতীয় বারের বিজয়। বাস্তবতা হলো এই নির্বাচনে ডাঃ আইভি-কে লড়তে হয়েছে প্রকৃতপক্ষে বহু বিতর্কের জনক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ খেলা হবে শামীম ওসমান তথা ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে। ডাঃ আইভি-কে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি তথা জাতীয় রাজনীতি থেকে বিদায় করতে তাঁর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করানোসহ হেন এমন কোন কাজ নাই যা খেলা হবে শামীম ওসমান করেন নাই। ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি যেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না-পান সেজন্যে জনাব শামীম ও তার চেলাচামুন্ডারা কুৎসা রটনা করাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বহু দেন-দরবার করেছিলেন। জনশ্রুতি রয়েছে যে, ডাঃ আইভি’র মনোনয়ন ঠেকাতে একটি বিদেশি মিশন দ্বারস্থ হয়েছিলেন শামীম সাহেব এবং আওয়ামী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট কমপক্ষে ৩ বার ফোনও করিয়েছিলেন। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন সময়ে। বলাই বাহুল্য, এতে খেলা হবে শামীম ওসমান ও তার চেলাচামুন্ডারা ব্যার্থ হয়েছিলেন।

কিন্তু শামীম সাহেব ছাড়বার পাত্র নন্। নির্বাচনের দিন ডাঃ আইভি’র নির্বাচনি-এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দান, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বহু ভাবে তিনি ডাঃ আইভি-কে হারাতো চেষ্টার কোন ত্রুটি করেন নাই। জনাব শামীম যেই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেই কেন্দ্রে ডাঃ আইভি’র হেরে যাওয়া নারায়ণগঞ্জে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিল তৎকালে। বিষয়টি এখনো আলোচনার খোরাক জুগিয়ে যাচ্ছে বেশ। নির্বাচনকালীন সময়ে ডাঃ আইভি’র ক্লিন ইমেজকে বিতর্কিত করতে জনাব শামীম ওসমানের একজন বহুল পরিচিত চেলা এড. খোকন সাহা চাঁদাবাজি পর্যন্ত করেছেন। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে ডাঃ আইভি বিশাল এক বদনাম থেকে রক্ষা পেয়ে যান। এড. খোকন বর্তমানে একটি মামলার পলাতক আসামি।

এবারের নাসিক নির্বাচনে যে ৪ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ বারের প্রাক্তন সভাপতি ও আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু, জেলা যুবলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির, জেলা আওয়ামী লীগ যগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আদিনাথ বসু। এক কথায় বলতে গেলা এই ৪ নেতা ডাঃ আইভি’র চারপাশে এক দূর্ভেদ্য প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন। জনশ্রুতি রয়েছে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে এই ৪ নেতা এবং স্বয়ং ডাঃ আইভি’র জীবনেরও হুমকির হুমকির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল বহুল আলোচিত ঐসকল ব্যক্তিবর্গ। যাহোক আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রয়োজনীয় কঠোর অবস্থানের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছিল এবং ডাঃ আইভি ও তাঁর মনোনীত কাউন্সিলররা যথারীতি বিজয়ী হয়ে এসেছেন। খেলা হবে শামীম ওসমান ও তার চেলাচামুন্ডাদের কোন ষড়যন্ত্রই ৪ নেতার দূর্ভেদ্য প্রাচীর ভাঙ্গতে সফল হয় নাই।

এটা সর্বজন স্বীকৃত যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ বর্তমানে ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি দূর্নীতি মুক্ত গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছেন আর বলাই বাহুল্য সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিতে বিশ্বাসী গ্রুপটির নেতৃত্বে রয়েছেন খেলা হবে শামীম ওসমান। জনাব শামীম ওসমানের গ্রুপের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলো হুলিয়া মাথায় নিয়ে পলাতক এড. খোকন সাহা, বাবু চন্দন শীল এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল (ভিপি বাদল)। এরা প্রত্যেকেই বিতর্কিত। এড. দীপু এক সময় শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কিন্তু শামীম সাহেব ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি, ভূমিদস্যুতা, ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি অনেকের মতো এড. দীপুও পছন্দ করেন নাই। তাই তিনি শামীম গ্রুপ ত্যাগ করে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারকবাহক ডাঃ আইভি’র গ্রুপে যোগ দিয়ে সংগঠন তথা নারায়ণগঞ্জ জেলার সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এড. আনিসুর রহমান দীপু’র রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড অত্যন্ত শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ভাষা সৈনিক ও সনদ বিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবিদুর রহমান খান’র দ্বিতীয় পুত্র এড. দীপু’র জন্ম আওয়ামী পরিবারে, বেড়ে উঠা আওয়ামী পরিবেশে এবং বাল্যকাল থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী রাজনীতিই করে চলেছেন। তাছাড়া তিনি বড় ভ্রাতার বৈবাহিক সূত্রে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত রমিজউদ্দিন ভূঁইয়া পরিবারের সাথেও সম্পৃক্ত। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিবিধ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে তার অধিষ্ঠিত থাকার কথা থাকলেও স্বার্থবাদী রাজনীতির ধারকবাহক খেলা হবে শামীম ওসমানের কারণে তিনি এতোদিন বঞ্চিত থেকে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটির পূনর্বিন্যাস/নির্বাচন সন্নিকটে। জেলা আওয়ামী লীগের আপামর কর্মী-সমর্থকবৃন্দ আশা করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এবার নিশ্চিত ভাবে এড. দীপুকে মূল্যায়ন করবেন এবং তাকে জেলা/মহানগর আওয়ামী লীগের কোন শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করে দলীয় কাজে উৎসাহিত আরো উৎসাহ যোগাবেন। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও দরজায় কড়া নাড়ছে। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ সবসময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি খেলা হবে শামীম ওসমানের আরেক ভাই জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম ওসমানকে ছেড়ে দিয়ে আসছিলো। স্থানীয় ভোটার, নারায়নগঞ্জ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন নিজদের যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও বারবার জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কোন মানে হয় না। ফলে সার্বিক বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি হতে যাচ্ছেন এড. আনিসুর রহমান দীপু, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই। কিন্তু খেলা হবে শামীম ওসমান কি অলস বসে বসে সব দেখতে থাকবেন!!! না, মোটেই তা নয়। তিনি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের কোন কমিটি কিংবা ভবিষ্যত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এড. দীপুকে তিনি যেকোনো মূল্যে ঠেকাবেন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে তিনি দেশের বাইরেও কাজ করবেন। বিষয়টি ডাঃ আইভি ও তার নেতৃত্বাধীন গ্রুপ অবগত আছেন এবং এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপে ডাঃ আইভি বলেছেন, ‘এবারের নাসিক নির্বাচন ছিল খুবই ষড়যন্ত্রমূলক। আমাকে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। আমার কোন বাহিনী নাই। আমাকে এবার হত্যার প্রচেষ্টাও করা হয়েছে’।প্রসঙ্গতঃ এসব অভিযোগের তীর বরাবরের মতো খেলা হবে শামীম ওসমানের দিকেই নির্দিষ্ট হয়েছে। কিন্তু তাতে কি?? গত ২৯ জানুয়ারি ফতুল্লার এক জনসভায় শামীম ওসমান বলেন,’একটা আন্তর্জাতিক ও লোকাল পলিটিক্যাল ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা ট্রেনিং নিচ্ছি। এবার “খেলা”র জবাব সেভাবেই দেব’। তিনি অনেকটা হেলেনা জাহাঙ্গীরের সুরে আরো বললেন, ‘আমরা একজনকেই মানি, আর তিনি শেখ হাসিনা। বাকীগুলোরে গোনায় ধরি না’।

এদিকে গত ২২ জানুয়ারি নওম পার্কের এক মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান অনেকটা হঠাৎ করেই বহুল আলোচিত ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে বসলেন। হত্যাকান্ডটির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ বাসী দীর্ঘদিন যাবৎ খেলা হবে শামীম ওসমান ও পরিবারের সদস্যরা জড়িত মর্মে সন্দেহ করে আসছে। ইতিমধ্যে ত্বকী হত্যা মামলার খসড়া চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু এতে শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি যারপর নাই গোসসা হয়েছেন। গত ৮ মার্চ মহিলা আইনজীবীদের এক সমাবেশে তিনি তার আপত্তির কথা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গতঃ ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন্। হত্যাকান্ডে জড়িত ভ্রমর ও লিটন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাতে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা ‘যা ছিল খসড়া চার্জশিটে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলাই বাহুল্য, প্রতিবেদনটিতে ত্বকী হত্যার বিষয়ে ওসমান পরিবারের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। আর এই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে গত ১২ ফেব্রুয়ারী একদল সন্ত্রাসী প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল যোগে এসে পত্রিকা অফিসে ব্যাপক হামলা চালায়। হামলাকারীরা সেসময় বলতে থাকে, ‘তোরা আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে নিউজ করস্। কালকের মধ্যে ক্ষমা চাইবি। তা না-হলে পত্রিকা অফিস জ্বালিয়ে দেব’। হামলাকান্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের সনাক্ত করা গেছে তারা হলো, ছোট লিমন, আক্তার নূর, সুমন, সানি, ইসমাইল, আন্নান, কাজল,রুবেল, সিনাফ, রবিন,মনির, লক্ষ্মণ, কৃঞ্চা,রাতুল প্রমূখ। এরা সবাই খেলা হবে শামীম ওসমানের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য। এদিকে শামীম ওসমানের অন্যতম চেলা পলাতক আসামি এড. খোকন সাহা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ওসমান পরিবারকে জড়িয়ে ত্বকী হত্যার কথা বললে জিব টেনে ছিড়ে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দিব’। আরেক চেলা বাবু চন্দন শীল স্থানীয় একটি আইপি টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শামীম ওসমানকে সবাই সন্ত্রাসী বলে। তাদের জেনে রাখা উচিত শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী, আবু তাহেরের মতো লোকরা না থাকলে “জয় বাংলা” শ্লোগানও থাকতো না’।

ত্নকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ভ্রমরের এক ভাই এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে বলেছেন, ‘ দেখেন শামীম ওসমান কখনো নারায়ণগঞ্জ বারের নির্বাচনে এড. দীপুর মতো লোকদের আসতে দিবে না। কারণ নারায়ণগঞ্জ বারে তার প্রয়োজন জ্বী হুজুর মার্কা একটি কমিটি। যারা ত্বকী হত্যা মামলাসহ যাবতীয় দূর্নীতির মামলায় দীর্ঘসূত্রীতা সৃষ্টি করে রাখবে। একসময় মামলাগুলো তামাদি হতে সাহায্য করবে ‘।

বহুমুখী ষড়যন্ত্রের নায়ক দৈনিক ৭৩ রাকাত নামাজ আদায়কারী শামীম ওসমান প্রায়শ বলেন, তিনি ৮ম শ্রেণি পড়াকালীন সময় থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়। ঐ সময় একবার প্রতিপক্ষের হাতে বেদম মার খেয়েছিলেন, তার পিঠে ৩টি বাইসাইকেল ভাঙ্গা হয়েছিল। এই প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে যা জানতে পারেন তা হলো, ঐ আমলে ফুটবল খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। চাষাড়া এবং মিশন পাড়ার মধ্যে নিয়মিত ফুটবল খেলা হতো। তেমনই এক খেলার ফলাফলকে কেন্দ্র করে ২ সমাজে ব্যাপক মারামারি হয়। সেই মারামারিতে শামীম সাহেবও স্বভাবসুলভ কারণে প্রতিপক্ষের হাতে মার খেয়েছিলেন। সেই মারামারিকে তিনি রাজনৈতিক কালার দিয়ে ফায়দা লুটে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন শামীম ওসমান হঠাৎ করে ডাঃ আইভি’র নবনির্মিত বাড়ী নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেছেন। তিনি বলেন,’শতকোটি টাকা খরচ করে বাড়ি করেন কি-ভাবে? দুদক এনবিআর কি এসব দেখে? আমারতো মনে হয় না ‘। শামীম ওসমানের এমন কথার জবাবে মেয়র আইভি বলেন,’ বাপের জমি বিক্রি করে বাড়ি করেছি। আপনার মতো চুরি করে নয় ‘। তিনি আরো বলেন,’ আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন শামীম ওসমান ১৬-১৭ টা বার্জের মালিক। কাজ নাই কর্ম নাই অথচ তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। কি ভাবে হলেন? আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ নারায়ণগঞ্জেই থাকি। তিনি থাকেন কোথায়? ঢাকার গুলশানে। এতো টাকা কোথায় পেলেন? এসবের হিসাব একদিন দিতে হবে ‘।

সাংসদ শামীম ওসমান প্রায়শ বলে থাকেন, ‘ আমি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যতো টাকা আনতে পেরেছি বাকী ৪ জন এমপি সকলে মিলে ততো টাকা কখনো আনতে পারেন নাই ‘। বাকী ৪ জনের মধ্যে তার সহোদর ভাই জাতীয় পার্টি নেতা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানও অবশ্য রয়েছেন। দৈনিক যুগান্তরের ২৭ জানুয়ারির এক রিপোর্টে দেখা যায় শামীম ওসমান দাবি করেছেন, ‘ একজন মা যেভাবে সন্তানকে দোয়া করেন ঠিক সেই ভাবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেছেন। আমার মনে যত কষ্ট ও দাগ ছিল সব মুছে গেছে। এ ছাড়া দোয়ার আগে তিনি সদ্য অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনের কৃতিত্ব আমাকে দিয়ে বলেছেন অল থ্যাঙ্কস টু ইউ ‘। তার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি এডভোকেট মাসুম বলেন,’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে দোয়া দেয় নাই। অনেক দূর থেকে বলেছেন থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্ক ইউ। এবার তুমি বিদেয় হও। আমরা সহসাই এর ফলাফল দেখতে পাবো ‘। এই বক্তব্য প্রদানের পরক্ষণেই এড. মাসুমের বাড়ির সামনে হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অবশ্য এতদ বিষয়ে নির্বাচনকালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার এক নির্বাচনী সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাংসদ শামীম ওসমানকে লক্ষ্য করে একটি বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ‘ নৌকা মার্কা পেয়েছেন বলে এমপি হয়েছেন। জীবিত থাকতে আপনাকে আর নৌকা মার্কা পেতে দেব না ‘।

‘ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে শামীম ওসমান দেশে থাকতে পারেন না। অচিরেই তিনি আবার দেশ ছেড়ে পালাবেন। কারণ তিনি চোর। মেয়র আইভি’র এমন বক্তব্যের জবাবে শামীম ওসমান বলেন,’ আমি বিদেশে থাকলেও নেত্রীর জন্য মিছিল মিটিং এর ব্যবস্থা করেছি। আমার মিছিল না বেরোলে নেত্রী ঘর থেকে বেরোতেন না। আপনি দেশে থেকে কোন ডান্ডা মেরেছেন ‘? গত ২৫ জানুয়ারি এক পাশে খোকন সাহা অন্য পাশে চন্দন শীলকে বসিয়ে তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন,’ আমি কোন চাপে পড়ে রাজনীতি করি না ‘। ১৪ ফেব্রুয়ারী বন্দরের কলাগাচিয়া ইউনিয়নে সাবদি গ্রামে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব উদ্বোধন কালে দেলোয়ার প্রধান বলেন,’ আমি কোন পার্টি বুঝি না। শেখ হাসিনা বুঝি না, খালেদা জিয়া বুঝি না, শেখ মুজিব বুঝি না। আমি ওসমান ফ্যামিলি বুঝি ‘। তার এই বক্তব্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ জনগনের বলতে শুনা গেছে, এসব কথা অত্যন্ত বিপদজনক ও মানহানিকর। শামীম ওসমানের সায় ছাড়া এ জাতীয় কথাবার্তা কারো পক্ষে বলা অসম্ভব। ইদানীং শামীম ওসমান বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ৫০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করছেন, যা দলের গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক। এতদ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের ক্লিন ইমেজের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা বলেন, ‘ এসব কমিটি আওয়ামী লীগ কমিটি নয়, ওসমান লীগ কমিটি। গভীর কোন ষড়যন্ত্রের চিন্তা ভাবনা থেকে জনান শামীম এসব কান্ডকারখানা করে থাকতে পারেন। প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের ধারকবাহক গত নাসিক নির্বাচনে ‘বিশেষ গোলযোগ’ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কমপক্ষে ২ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে মাঠে নামিয়েছিলেন। ১ জনকে এনেছেন ঢাকা থেকে অন্যজনকে নারায়ণগঞ্জ জেল থেকে প্যারোলে মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। বর্তমানে তার এই কমিটি কমিটি খেলা ঐ ধরনের কোন ষড়যন্ত্র কি-না ভেবে দেখা জরুরী ‘।

সাংসদ শামীম ওসমানকে হয়তো আর বিদেশে পালিয়ে যেতে হবে না। কারণ এড. তৈমুর আলম খন্দকার-কে মেয়র পদে পাশ করিয়ে আনতে না পারলেও তিনি এমন কিছু কাউন্সিলর পাশ করাতে পেরেছেন যারা অতিতে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রীয় ছিল। তাছাড়া ওয়ার্ড-৩ এর পাশ করা কাউন্সিলর শাহজাদা বাদল চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলার আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। তিনিও চাচার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শামীম ওসমানের হিসসার দেখভাল সুচারুরূপে করে যাচ্ছেন।

এই প্রতিবেদক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজউদ্দিন ভূঁইয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র এনামুল হক ভূঁইয়া বাদলের সাথে নারায়ণগঞ্জের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। দীর্ঘ আলাপচারিতা কালে জনাব বাদল ভূঁইয়া বলেন, ‘ দেখেন আমার বাবা-সহ সমসাময়িক অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক। তাঁরা নিঃস্বার্থ ভাবে দেশ ও দশের কল্যানে রাজনীতি করতেন। পকেটের টাকা খরচ করে দলীয় রাজনীতিকে সচল রাখতেন। পক্ষান্তরে এখনকার রাজনীতি হচ্ছে “খেলা হবে”র রাজনীতি। যে যতো বেশি খেলুড়ে, যে যতো বেশি সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, কিংবা চাঁদাবাজ সে ততো বড় ডাকসাইটে নেতা। রাজনীতির এ-হেন পরিস্থিতিতে প্রয়াত পিতার গৌরবোজ্জ্বল রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে চুপচাপ আছি। কারণ রাজনীতি এখন আর ভদ্রলোকের কাজ নয়।

এড. আনিসুর রহমান দীপু সম্পর্কে তিনি বলেন,’ এড. দীপু আমার নিকটাত্মীয়। তার চাইতেও বড় পরিচয় তিনি আমার বাল্যবন্ধু। তাঁর বাবা প্রয়াত আবিদুর রহমান খান ছিলেন ভাষা সৈনিক ও সনদ-বিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর চাচাদের মধ্যে একজন ডাঃ সোলায়মান খান হলেন শহীদ বুদ্ধজীবী অন্যজন প্রখ্যাত অংকন শিল্পী হাসেম খানও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় ব্যক্তিত্ব। এড. দীপু একদম বাল্যকাল থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর আদর্শের রাজনীতি করে আসছেন। কিন্তু কখনও পদ-পদবির লোভ-লালসা করেন নাই। তারপরও কথা একটাতো থেকেই যায়, কর্মের স্বীকৃতি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে আশা পোষন করছি যে, এড. দীপু অচিরেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলা/মহানগর কমিটির কোন শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দল, দেশ ও জাতির কল্যানে নিজকে ব্যস্ত রাখবেন। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করে নৌকা প্রতিক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে বাকী জীবন অতিবাহিত করবেন। আমি আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, ভূঁইয়া পরিবার তাঁর পাশে অতিতের ন্যায় ভবিষ্যতেও অবিচল থেকে তাঁর কাজগুলোকে সাফল্য মন্ডিত করতে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে ‘।

প্রয়াত রমিজউদ্দিন ভূঁইয়ার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ফ্রান্স প্রবাসী মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া এক ক্ষুদেবার্তায় জানিয়েছেন, এড. দীপু নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে তিনি স্বপরিবারে দেশে চলে আসবেন এড. দীপুর পক্ষে কাজ করার জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com