1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৩৭২ শিশু হাফেজের কণ্ঠে ১০০ বার কোরআন খতম চট্টগ্রাম পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে সহ-সভাপতি হলেন প্রদীপ কুমার দত্ত অভিজ্ঞ ব্যাংকার সৈয়দ মিজানুর রহমান মেঘনা ব্যাংকের এমডি নিযুক্ত সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, ৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন খান আর নেই বিএনপি মহাসচিব ও নজরুল ইসলাম খানের শোক! দেবিদ্বারে দি ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “সময়ে দেশে ফিরেই নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: রিজভী” দেশেই চিকিৎসা নিতে আগ্রহী বেগম খালেদা জিয়া ও ডা. জোবাইদা রহমান কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের সাংহাইয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের মুখ্য সংগঠক বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন

ভারতে মুসলিম নারীদের নিলামে ‘বিক্রি’র অ্যাপ, গ্রেফতার হয়নি কেউ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৪৯ বার দেখা হয়েছে

নির্যাতিত নারীরা বলছেন, এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার অভাবে এটাই জোরালোভাবে ফুটে উঠেছে যে, ভারতে মুসলিম নারীরা কতোটা বৈষম্যের শিকার।

সাংবাদিক, লেখিকা, প্রভাবশালী এমন কমপক্ষে ৮০ জন মুসলিম নারীকে নিলামে বিক্রি করে দেয়ার জন্য ‘সুলি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। মুসলিম নারীদের অবমাননা করতে সুলি ডিলস শব্দটি ব্যবহার করে থাকে উগ্র ডানপন্থি হিন্দু পুরুষরা। এই অ্যাপের ব্যবহারকারীদেরকে পণ্যের মতো নিলামে এসব নারীকে ‘কেনা’র প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে তাদেরকে ভীত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়া হতো। তাদেরকে যৌন নিগ্রহের শিকারে পরিণত করা হতো।

দু’মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্লাটফরম ‘গিটহাব’ ওই সাইটটি নামিয়ে ফেলে। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারীরা। তারা বলেছেন, এর অর্থ এই নয় যে, তারা নীরব হয়ে যাবেন। ঘটনার শিকার নারী, বিরোধী আইনপ্রণেতা এবং অধিকারকর্মীরা ভারতের পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কমপক্ষে চারটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। তার মধ্যে হেনা মোহসিন খান অন্যতম।

দিল্লি পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা প্রবীণ দুজ্ঞাল নিশ্চিত করেছেন যে, সাইবার সেলের একটি ইউনিট এ অভিযোগ তদন্ত করছে। তবে বিষয়টি ‘সিলড’। তাই তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অস্বীকৃতি জানান।

সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে আইন আছে ভারতে। কিন্তু সাইবার বুলিং বা অনলাইনে কাউকে অবমাননা করার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বিধান বা আইন নেই। অথচ ভারতে দেদারছে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এ মাধ্যমে।

হেনা মোহসিন খান ও অন্য নারীবাদী আন্দোলনকারীরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিরা তাদেরকে টার্গেট করছে। এসব মানুষ তাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে বিরত রাখতে যথেষ্ট করছে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করেন, ধর্মীয় কারণে তাদেরকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নারীরা লিঙ্গগত দিক দিয়ে শক্তিশালী অধিকার চায় এ কারণেও তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হতে পারে।

সরকারের ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী, ভারতে মোট নারীর সংখ্যা প্রায় ৫৮ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৬.৫ ভাগই মুসলিম। এর মধ্যে প্রথম সারির এসব নারীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নিলামে’ তোলার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর ২১ জন নারী হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়েছেন। তারা একে অন্যকে সমর্থন দেয়ার জন্য এই গ্রুপটি সৃষ্টি করেছেন। এর সঙ্গে রয়েছেন কবি নাবিয়া খান। তিনি নিয়মিত টুইটারে পোস্ট দেন। সেখানে ভারতে একপেশে হয়ে পড়া মানুষদের কণ্ঠকে জোরালো করে প্রকাশ করেন তিনি। মনে করেন, এ কারণে তার দিকে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছিল ‘সুলি ডিলস’-এর।

হেনা মোহসিন খানের কোনো আত্মীয় নন নাবিয়া খান। তিনি বলেন, পুরুষরা মনে করে থাকেন যে, যৌন সহিংসতা একটি বৈধ শাস্তি। নির্যাতিত হওয়ার প্রতিবাদে তিনি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো তাদের কাছ থেকে কিছু ফলোআপ পাননি। নাবিয়া খান বলেন, আমি আশা করেছিলাম যে, আমার অভিযোগকে মর্যাদার সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ন্যায়বিচারের পক্ষে এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। এতে আমি ক্ষুব্ধ।

নির্যাতিত নারীরা বলেছেন, অনলাইনে এভাবে নির্যাতন এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি তাদের মনোভাব। সম্প্রতি ভারতে মুসলিম বিরোধী ঘৃণাপ্রসূত অপরাধের বেশ কিছু রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য আইন পাস করেছে।

সমালোচকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে ভারতে রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৯ সালে ভারতের পার্লামেন্ট একটি বিল পাস করেছে। তাতে শুধু মুসলিম বাদে প্রতিবেশী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার পথ করে দেয়া হয়েছে। মুসলিম বিরোধিতা পুলিশ বাহিনীতেও বিদ্যমান। প্রায় ১২ হাজার পুলিশ কর্মকর্তার ওপর জরিপ করে এ কথা বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে স্ট্যাটাস অব পুলিসিং ইন ইন্ডিয়া রিপোর্টে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নিয়েছিলেন যারা তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক পুলিশই মনে করেন, মুসলিমরা স্বভাবগতভাবেই অপরাধপ্রবণ।

সামাজিক অধিকার আন্দোলনকারী এবং ইন্ডিয়ান মুসলিম ওমেন্স মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা জাকিয়া সোমান বলেছেন, অনলাইনে কুসংস্কারও ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে এ ধরণের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com