নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৪ অধিশাখা থেকে সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে “রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫” জারি করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালায় মোট সাতটি অধ্যায় ও ১৯টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এতে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, রিটেইনার নিয়োগের যোগ্যতা ও পদ্ধতি, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং আপিল সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্রকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই সাপেক্ষে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীরা সাময়িক আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স পেতে পারবেন। এ লাইসেন্সের মেয়াদ নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
প্রতিটি রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা পদপ্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ একজন রিটেইনার নিয়োগের অনুমতি থাকবে। রিটেইনার অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অপরাধমুক্ত এবং সরকারি মেডিকেল ফিটনেস সনদপ্রাপ্ত হতে হবে। তবে রিটেইনারের নামে আলাদা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ইস্যু করা হবে না; অস্ত্রের দায়ভার সম্পূর্ণভাবে লাইসেন্সধারীর ওপর থাকবে।
নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে অস্ত্র বা রিটেইনার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আচরণবিধি বা সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই লাইসেন্স ও রিটেইনার অনুমোদন বাতিল করা যাবে।
এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় বা সামরিক অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একাধিক অস্ত্রের লাইসেন্স অনুমোদনযোগ্য নয়।
সরকার বলছে, এ নীতিমালার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারে লাগাম টানা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।