ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ৪ সন্তান ফেলে মোবাইল ফোনে বিয়ে, উভয় কুল হারিয়ে অবশেষে গলায় ফাঁস নিলেন রোকসানা(২৭) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ।
এমন ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের ছিলাধরচর গ্রামে।
নিহত প্রবাসির স্ত্রী উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মুন্সীকান্দা গ্রামের আক্কাছ সরদারের মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী ঢাকা জেলার ইমরান খাঁনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রোকসানার একই গ্রামের রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রথম বিবাহ হয়। সেই সংসারে চারজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
গত দুই মাস হয় প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ও সেই সংসারের চার কন্যা সন্তান ফেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ইমরান খান নামের এক প্রবাসীকে মোবাইলে বিয়ে করেন। সেই থেকে ভাঙ্গা পৌর সদরের ছিলাধরচর গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়িতে রোকসানা একা একা বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন।
রোকসানার নিঃসঙ্গ একাকী বসবাস করতে থাকে। অনেকের ধারণা রোকসানা উভয়কুল হারিয়ে শেষ পর্যন্ত গতকাল ২৪ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল যেকোনো সময় রোকসানার শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় উরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন।
পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে শুক্রবার বিকেলে রোকসানার মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
এ ঘটনায় রোকসানার বাবা আক্কাস সর্দার জানান, চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে, বড় দুইজন মাদ্রাসায় পড়ে, ছোট দুইজনকে ওর শাশুড়ির নিকট রেখে সম্ভবত ঢাকার ওইদিকে বাড়ি তার সঙ্গে মোবাইলে বিয়ে হয়েছে। এর বেশি আমি জানিনা, এত বড় একটি ভুল করেছে সেই অনুভূতি থেকেই সম্ভবত উভয় কুল হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, এমনই ধারণা মনে হচ্ছে। আমরা ওর বাবা-মা বেঁচে আছি আমাদের কাছে বলা উচিত ছিল।
মানবাধিকার,NPS. সজল মালো,এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে।
এ বিষয়ে ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, রোকসানা বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা মহিলা অনেক দেনাদায়ী হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিস্তারিত, আধুনিক সংবাদ ।