1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীর জেলায় গলাচিপায় উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কালিহাতীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন ভয়-সন্ত্রাসে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না: বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দাউদকান্দিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন মহান বিজয় দিবসে দাউদকান্দিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন উপজেলা বিএনপির বেপারী মোহাম্মদ তিতুমির কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণের আহ্বান মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

সমঝোতা করেও স্বতন্ত্রের কাছে কুপোকাত লাঙ্গল

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯৪ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে নৌকাবিহীন রংপুর ৩ আসনে জিতেছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও ৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এ কে এম সেলিম ওসমান, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মুজিবুল হক চুন্নু, পটুয়াখালী-১ আসনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, ফেনী-৩ আসনে লে জে অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনে মো: আশরাফুজ্জামান আশু বিজয়ী হয়েছেন।

অন্য দিকে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের সাথে আসন ভাগাভাগি করেও হারতে হয়েছে লাঙ্গলের প্রার্থী জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদেরকে। এ আসনে জিতেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: খসরু চৌধুরী। নিকটতম আওয়ামী লীগেরই আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী। শেরিফা কাদের এখানে প্রতিযোগিতাতেই আসতে পারেননি।

ভোটের হিসাবে দেখা গেছে মাত্র ৬ হাজার ৫৫৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়ে জামানত হারিয়েছেন শেরিফা কাদের। আর নৌকাবঞ্চিত কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: খসরু চৌধুরী ৬৯ হাজার ৮৩১ এবং ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম তোফাজ্জল পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৯ ভোট।

রংপুর-১ আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো: আসাদুজ্জামান বাবলু। এখানে দ্বিতীয় হয়েছেন জাপার সাবেক মহাসচিব স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙা। এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে দেয়া লাঙ্গলের প্রার্থী জি এম কাদেরের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার।

২০১৪ ও ২০১৮ সমঝোতা করে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে এমপি হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। এবারো তিনি সমঝোতার ভাগে লাঙ্গল পেয়েছিলেন। কিন্তু এবার মাত্র ১০ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন তিনি। এখানে ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের খান মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বাঁধন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনটি ২০২৩ সালে বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল। এই আসনে এমপি নির্বাচিত করতে এক বছরে একাধিক উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনটি আলোচনায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন। তিনি ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জাপা নেতা জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। অন্য দিকে সমঝোতার ভাগে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

হবিগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর কাছে হেরেছেন জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী।

অনেক নাটকীয়তা, দেনদরবারের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছিল জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। সব মিলে এবার ২৬৫টি আসনে দলটির প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের ১১টিতে জিততে পেরেছেন জাপার প্রার্থীরা। সমঝোতার বাইরে কোনো আসনে দলের প্রার্থী জিততে পারেননি। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কমল। বর্তমানে দলটির ২৩ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছেন। আর সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য রয়েছেন চারজন। নির্বাচিতদের বাইরে বেশির ভাগ আসনেই জামানত হারিয়েছেন জাপার প্রার্থীরা।

একাদশ সংসদের ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ঢাকায় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গাইবান্ধায় শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ময়মনসিংহে ফখরুল ইমাম, সুনামগঞ্জে পীর ফজলুর রহমান, কুড়িগ্রামে পনির উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারীতে আহসান আদেলুর রহমান ও রানা মোহাম্মদ মো: সোহেল, নারায়ণগঞ্জে লিয়াকত হোসেন খোকা, বরিশালে নাসরিন জাহান রত্না, বগুড়ায় নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ১৪ জন সংসদ সদস্য হতে পারেননি।

বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ও তার ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ এবার নির্বাচন করেননি।

আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতায় আসন না পেয়ে কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এর বাইরে রংপুরে মসিউর রহমান রাঙ্গা ও পিরোজপুরে রুস্তম আলী ফরাজী দল থেকে বাদ পড়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন। তারাও হেরেছেন।

সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই করেছে : নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে গতকাল রংপুর নগরীর সেনপাড়াস্থ স্কাই ভিউ বাসভবন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাদের ওপর সেই আস্থা রেখেই আমরা নির্বাচনে গিয়েছি, কিন্তু তারা তাদের কথা রাখেনি। এ রকম করলে তো যুদ্ধ ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে দেশের নির্বাচন ভালো হয়নি। আমরা এটি আশঙ্কা করেছিলাম। সরকার যেখানে চেয়েছে নির্বাচন নিরপেক্ষ করেছে, আবার যেখানে চেয়েছে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়েছে। তাই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। এ কারণে নির্বাচনে কেউ আসতেও চায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না তা আমি বলতে পারছি না। তবে আমার মূল্যায়নে সরকারের নিয়ন্ত্রিত এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার কথা না।

এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছেন না উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, কারণ এটি করার মতো আমাদের অবস্থা নেই। নির্বাচনে অংশ নেয়া ভুল হয়েছে কি সঠিক হয়েছে তা এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলোতে দেখে তারপর মূল্যায়ন করা হবে।

জাতীয় পার্টির নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করলে আমাদের দলের সমস্যা সৃষ্টি হতো, দলীয় রাজনীতি রক্ষায় আঘাত আসতে পারে এমন পরিস্থিতি ছিল। তাই তাদের বিশ্বাস করে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে বিশ্বাস কিংবা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলাপ-আলোচনায় আসতে হয়। এ ছাড়া অন্য প্রক্রিয়া হলো যুদ্ধ করা, আমরা তো যুদ্ধের মাধ্যমে সমাধান করতে পারব না। বিশ্বাস করে এসেছি কিন্তু তারা বিশ্বাস রক্ষা করেনি। তাই আগামীতে তাদের অন্য কেউ বিশ্বাস করবে না। তাদের গ্রহণযোগ্যতার বিপক্ষে কাজ করবে।

২০১৪ ও ২০১৮ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে জাপা নির্বাচন করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপাকে ৩৩টি আসন দেয়া হয়েছিল। সেবার তারা আওয়ামী লীগের সাথে মিলেমিশে মন্ত্রিসভায় থাকে, আবার বিরোধী দলেরও ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে জাপা ২৩টি আসন পেয়ে সংসদে বিরোধী দল হয়। এবার দলটি গতবারের অর্ধেকের কম আসন পেল।

বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার অবস্থান আগামী সংসদে কী হবে, সে আলোচনা শুরু হয়েছে দলটির ভেতরে এবং রাজনৈতিক মহলে। কারণ আওয়ামী লীগের নেতারা যারা স্বতন্ত্র হয়েছেন, তারা জাপার চেয়ে অনেক বেশি (৬২টি) আসনে জিতেছেন। তাই টানা দুইবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে থাকা জাতীয় পার্টি এবার শেষ পর্যন্ত থাকছে কি না-এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অলরেডি বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অনেকেই জিতেছেন। ১৪ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি লিডার অব দ্য হাউজ হবেন তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নতুন লিডার অব দ্য হাউজ, তিনি পরিস্থিতি বিবেচনায় করণীয় অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com