1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চাটখিলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে শুকরিয়া আদায় দোয়া মাহফিল শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির অবদান স্মরণ করলেন তারেক রহমান নবী (সা.)-এর ন্যায়-পরায়ণতায় দেশ চালানোর প্রতিশ্রুতি : তারেক রহমান  ৭১ ও ২৪–এর শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে: তারেক রহমান নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান গুলশানের বাসভবনে পৌঁছালেন ডা. জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান দীর্ঘ দেড় যুগ পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, গণসংবর্ধনায় রওনা দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান ঢাকায় গণসংবর্ধনায় জনস্রোত, বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, ঢাকায় পৌঁছালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান

শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে ক্ষতি সবার, ওয়াশিংটনকে দিল্লির বার্তা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৮৮ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত এবং আমেরিকা কারো পক্ষেই সুখকর হবে না বলে মনে করে নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, একাধিক স্তরের বৈঠকে নয়াদিল্লি এ কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত যে খুশি নয়, ওয়াশিংটনকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই বার্তাও।

শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক এটা ওয়াশিংটনের মতো ভারতও চায়। কিন্তু যেভাবে শেখ হাসিনা সরকারকে অস্থির করার জন্য আমেরিকার তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর তিন সপ্তাহ পরেই নয়াদিল্লিতে এক মঞ্চে বসবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ভারতের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সাউথ ব্লক মনে করে, জামায়াতে ইসলামিকে ‘রাজনৈতিক ছাড়’ দেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা মৌলবাদের দখলে চলে যাবে। উদার পরিবেশ যেটুকু রয়েছে তা-ও আর থাকবে না।

এতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত অঞ্চল বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। তালেবান এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে। আফগানিস্তানের নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনা না করেই আমেরিকা আফগানিস্তান নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চুক্তি করে নিয়েছিল, এখন যার ফল ভুগতে হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে সে দেশের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।

সূত্রের মতে, নয়াদিল্লি এ কথাই বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে জামায়াতকে আশকারা দিলে একদিকে যেমন ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে, তেমনই চীনের প্রভাব বাংলাদেশে অনেকটাই বেড়ে যাবে, যা কাঙ্ক্ষিত নয় ওয়াশিংটনেরও। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা জামায়াতকে বরাবরই রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তাকে তুলনা করে আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে জামায়াত যে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন এবং পাকিস্তানের হাতে তামাক খায়, এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ নয়াদিল্লি।’

এতে বলা হয়, ‘শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য পৃথক একটি ভিসানীতি ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। সূত্রের খবর, এটা আদৌ উচিত বলে মনে করছে না নয়াদিল্লি। এই নতুন ভিসানীতির ফলে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যারা বানচাল করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না। আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে সে দেশের (বাংলাদেশ) জন্য পৃথক ভিসানীতি গ্রহণ করল।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি এসে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তথা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। সেখানে তারাও বার্তা দিয়েছেন, আঞ্চলিক স্থিতি বজায় রাখার প্রশ্নে বিএনপি-জামায়াত জোট বিপজ্জনক। প্রতিনিধি দলের নেতা বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি ইতিবাচক বৈঠক সেরেছেন। ওই বৈঠকের ঠিক পরেই তার (রাজ্জাক) বক্তব্য, আমরা ভারতকে এটাই বলেছি যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় রাষ্ট্রের জন্যই জরুরি। শেখ হাসিনা সরকার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে বাংলাদেশের মাটিকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com