বঙ্গনিউজ বিডি ডেক্স : লোটন (যুক্তরাজ্য) বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে কমিটিবিহীন অবস্থায় চলছে!! দীর্ঘদিন ধরে এ অচলাবস্থার কারণে সংগঠনের ভেতরে তৈরি হয়েছে বিভক্তি ও চরম অসন্তোষ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ই আগস্ট (রবিবার) লোটনের একটি হোটেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিনিয়র নেতা সমুজ মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হন।
পুলিশ ও
দলীয় সূত্রে জানা যায় দলীয় ক্রোন্দলের কারণে সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই ও মুজাহিদ হাতে অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সমুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালান এবং তার মাথায় গুরুতর আঘাত করেন। সমুজ মিয়াকে বাঁচাতে গেলে দেলোয়ার ও ফয়জুরের ওপরও হামলা চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত সমুজ মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সমুজ মিয়া বাদী হয়ে সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হাই, মুজাহিদ গং এবং আরও ২-৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লোটন পুলিশ প্রশাসনের নিকট হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে, তবে পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান বলে জানা গেছে।
দলীয় কোন্দলের পেছনের কারণ
লোটন বিএনপি নেতা কর্মী সমর্থক বৃন্দ
ইউকে বিএনপি দায়িত্ব হীনতার কারণে এহেন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক প্রবীণ বিএনপি নেতা বলেন—
> “আমরা বারবার কমিটি গঠন করে ইউকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট জমা দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কোনো অদৃশ্য শক্তির ইশারায় লোটন বিএনপির কমিটি অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাট অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।”
তাঁরা আরও বলেন, সাবেক সভাপতি অগণতান্ত্রিকভাবে পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য গ্রুপ তৈরি করে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছেন। অভিযোগ দেওয়ার পরও ইউকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
লোটন বিএনপি ও ইউকে বিএনপি পরিবারের নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দলের নিয়মনীতি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।