বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াত নেতা আবু আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে জামায়াত নেতা এস এম আলম, রায়হান হাওলাদার, এস এম জামান, আমিন মুহাম্মাদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার খুলনায় যাত্রী খুবই কম। সকালে খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়তে শুরু করে বলে জানিয়েছেন মালিকরা। তবে দূরপাল্লার বিলাসবহুল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নগরীতে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক চলাচল অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে অবরোধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিবহণ বা স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণসহ ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে কেএমপির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন এবং অগ্নিসংযোগ করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করা প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের অপরাধে তথ্য প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
গাড়িতে অগ্নি-সংযোগ বা ভাংচুরের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ নাশকতাকারীর তথ্য প্রদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকেও অগ্নি-সন্ত্রাস ও নাশকতাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে বা এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারলে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। এতে আরও বলা হয়, যে কোন সমস্যায় নিকটস্থ থানার ডিউটি অফিসার ও জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করলে সাথে সাথে পুলিশ আপনাদের নিরাপত্তায় উপস্থিত হবে অথবা Hello KMP অ্যাপসে তথ্য দিতে পারবেন।