পল্লীবন্ধু এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের রাজপথের সিপাহসালার, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক, সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ও জাতীয় তরুণ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সফল কেন্দ্রীয় সভাপতি জননেতা অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেন রাজু বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকতেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছিল। তাঁর শাসনামলেই প্রথম এনালগ টেলিফোন ব্যবস্হাকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এনে ডিজিটালাইজেশনের যাত্রা শুরু করা হয়। যার সকল তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।
জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম নেতা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক, আইডিয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো সাবেক সফল ছাত্রনেতা মোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু আরও বলেন, আমাদের নেতা রওশন এরশাদ বারবার জি এম কাদের সাহেবকে সুযোগ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের কাউন্সিলে তিনি রওশন এরশাদ দলীয় চেয়ারম্যান পদ না নিয়ে (কাদের ডাকনাম সেলিমকে) সুযোগ দিয়েছিলেন দলকে শক্তিশালী করতে। কিন্তু হিতে তা বিপরীত হয়েছে। আজকে দলকে শক্তিশালী করার বদলে তারা বেছে নিয়েছে পল্লীবন্ধু’র দলকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিতে। এমতাবস্থায় পার্টি’র দু’র্দিনের কান্ডারী রওশন এরশাদ তার দায় এড়িয়ে না গিয়ে দলকে সারা বাংলাদেশে বেগবান ও এরশাদ আদর্শের একনিষ্ঠ, ত্যাগী, পরীক্ষীত,নেতা ও কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করছেন। এবং আজ তা ৫৯ টি জেলায় সাংগঠনিক ভিত্তি হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে। আজ প্রতিটি জেলায়’ই শুধু নয়, উপজেলা গুলোতেও জাতীয় পার্টির অফিস রয়েছে। নেতাকর্মীরা যেন নিজেদের পার্টি অফিসে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেন সেজন্য।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমরা নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্ব ও তাঁর দক্ষ নির্দেশনায় জাতীয় পার্টি’র ভবিষ্যৎ কান্ডারী সাদ এরশাদকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাবো এবং সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মো: আজমল হোসেন জিতু, তাহেরা মোশাররফ শোভা, জমিরুল হক লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিজান ও মোঃ সেন্টু প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক বলেন, পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর
ও আল-শামসরা যেমন করে জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। তেমনই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গংরা পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের সাথে পাক বাহিনীর মতোই আচরণ করেছে যা পুরো দেশবাসীর কাছে আজ দৃশ্যমান। তিনি জাতীয় পার্টির অগনিত নেতা-কর্মীদের পার্টির বর্তমান দূরবস্হার জন্য দায়ী জি এম কাদেরকে বয়কট করার জন্য আহবান জানান।
সভা শেষে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী সহ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বেগম রওশন এরশাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে দেশবাসীর সার্বিক কল্যানের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।