নাজমুল: শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৫ তেহরান, ইরান তথা বিশ্ব ইসলামি নেতৃত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি। তাঁর প্রকৃত নাম সৈয়দ আলী, জন্ম ইরানের ঐতিহাসিক খোমাইন শহরে। এই শহরের নাম থেকেই তার পরিচিতি পেয়েছেন ‘আয়াতুল্লাহ খোমেনি’ নামে।
তিনি ইরাক ও ইরানের বিখ্যাত মাদ্রাসাগুলো থেকে ইসলামি শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ফিকাহ ও উসুলে ফিকাহ-তে তাঁর উচ্চতর গবেষণা ও মুজতাহিদ হিসেবে অবস্থান তাঁকে “আয়াতুল্লাহ” উপাধিতে ভূষিত করেছে, যা সুন্নি ধারার “আল্লামা” বা “ফিকাহবিদ”-এর সমতুল্য মর্যাদা বহন করে।
সৈয়দ আলী খোমেনি নবী মুহাম্মদ ﷺ এর পবিত্র বংশধর—তিনি ইমাম হুসাইন (রাঃ)–এর পুত্র ইমাম জয়নুল আবেদীন (রহঃ)-এর বংশানুক্রমে ৩৮তম বংশধর। এই কারণে তাঁর মাথার কালো পাগড়ি একটি মর্যাদাপূর্ণ চিহ্ন, যা রাসূলের আহলুল বাইতের সাথে তাঁর বংশগত সম্পর্ককে প্রকাশ করে।
ইসলামি বিশ্বের বিভাজনের এই সময়ে তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় রেখে চলেছেন অসাধারণ অবদান। যদিও তিনি শিয়া মাজহাবের একজন নেতৃস্থানীয় আলেম, তবুও তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যুতে উদার ও ঐক্যপ্রবণ ফতোয়া দিয়েছেন—যেমন:
সাহাবীদের গালি না দেয়া মুহাররমে শরীর থেকে রক্ত ঝরিয়ে শোক পালন না করা।
শিয়া-সুন্নি সহ সকল মাজহাবের মুসলমানদের একত্রে একই মসজিদে নামাজ পড়ার উৎসাহ প্রদান
এইসব সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত তাঁকে শুধুমাত্র শিয়া বিশ্বে নয়, বরং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যেও একজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে স্থান করে দিয়েছে।
বিশ্বের চলমান অস্থিরতা ও বিভক্তির মাঝে আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির এই ঐক্যবদ্ধতার ডাক ইসলামি ভ্রাতৃত্বের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
📌 বিষয়: ইসলামি নেতৃত্ব | মুসলিম ঐক্য | মধ্যপ্রাচ্য শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৫ইং
#আয়াতুল্লাহখোমেনি #ইসলামিকনেতৃত্ব #শিয়াসুন্নিইক্য #মুসলিমঐক্য