বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামসহ ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের আলেমদের দুঃসময় ও গ্রেপ্তারের পর তাদের আইনি সহায়তায় বিএনপির অভিজ্ঞ ও তরুণ আইনজীবীদের ভূমিকার কথা সামনে এনেছেন বিএনপি সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ—এদেশে যেসব ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা আলেম রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের আইনি লড়াইয়ে বারবার ভূমিকা রেখেছে বিএনপি–ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা; কিন্তু পাল্টা হিসেবে তারা পেয়েছেন নির্যাতন, মামলা ও কারাবাস।
সাকিলা ফারজানার উদাহরণ টেনে সমর্থকদের অভিযোগ
হেফাজতের নানান মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মুফতি হারুন ইজহারসহ বহু নেতার পক্ষে জামিন করান বিএনপির আইনজীবী সাকিলা ফারজানা। সমর্থকদের দাবি, এর বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন ৭ দিনের রিমান্ড, ১০ মাস ৮ দিনের কারাবাস এবং দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন।
বাবুনগরীর পক্ষে মওদুদ আহমেদের লড়াই
হাটহাজারীর প্রখ্যাত আলেম জুনায়েদ বাবুনগরী গ্রেপ্তার হলে তার পক্ষে আদালতে লড়েছিলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। অভিযোগ অনুযায়ী, এর প্রতিদান হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে হয় ২৮টি মামলা, চারবার কারাবাস এবং ১৯ দিনের রিমান্ড— এমনকি শেষ সময়ে নিজ বাড়ি থেকেও উত্তোলনের ঘটনা ঘটে।
সাঈদীর পক্ষে ছিলেন মাহাবুব হোসেন
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আইনি লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহাবুব হোসেন। তিনিও পরবর্তীতে কারাবাস, রিমান্ড ও একাধিক মামলার সম্মুখীন হন।
মামুনুল হকের পক্ষে লড়েছেন তরুণ আইনজীবী হিমেল
হেফাজতের আলোচিত নেতা আল্লামা মামুনুল হকের গ্রেপ্তারের পর জামিনের লড়াইয়ে অংশ নেন বিএনপির তরুণ আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল। বিএনপি সমর্থকদের ভাষ্য—কে কোন আকিদার বা কোন সংগঠনের আলেম—তা না দেখে আলেম সমাজের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপির আইনজীবীরা।
—
“বিএনপিকে ইসলামবিরোধী প্রমাণের চেষ্টা চলছে”— সমর্থকদের অভিযোগ
বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পন্থী আলেমদের জন্য সাহসী আইনি ভূমিকা রাখার পরও আজ বিএনপিকে “ইসলামবিরোধী” হিসেবে উপস্থাপন করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে।
তাদের প্রশ্ন—যারা নিজেদের ইসলামপন্থী বা আলেম–বান্ধব দাবি করেন, বিশেষ করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও শিশির মনিরের মতো আইনজীবীরা—
তারা কেন জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হক বা হেফাজতের নেতাদের পক্ষে দাঁড়াতে পারেননি?
শিশির মনির নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা
সমর্থকরা অভিযোগ তুলেছেন—
শিশির মনির আবরার হত্যা মামলার অভিযুক্তদের, রানা প্লাজার মালিক রানার, এমনকি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমদের পক্ষে দাঁড়ালেও কোনো সময় হেফাজতের আলেম বা অন্য পন্থী আলেমদের জন্য লড়াই করেননি।
—
“আলেম সমাজের দুঃসময়ে কারা পাশে ছিল— তা আজ ভুলে যাওয়া হচ্ছে”
বিএনপি সমর্থকরা মনে করেন, অতীতের এই ত্যাগ–তিতিক্ষার ইতিহাস ভুলে গিয়ে আজ কিছু আলেম বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, যা তারা “কৃতঘ্নতা” হিসেবে দেখছেন।
তাদের দাবি—
“হেফাজতের দুঃসময়ে কে পাশে দাঁড়িয়েছিল—তা আজ অনেকেই ভুলে গেছে।”