1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অভিজ্ঞ ব্যাংকার সৈয়দ মিজানুর রহমান মেঘনা ব্যাংকের এমডি নিযুক্ত সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, ৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর শ্রমিক নেতা আলাউদ্দিন খান আর নেই বিএনপি মহাসচিব ও নজরুল ইসলাম খানের শোক! দেবিদ্বারে দি ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে’র অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “সময়ে দেশে ফিরেই নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: রিজভী” দেশেই চিকিৎসা নিতে আগ্রহী বেগম খালেদা জিয়া ও ডা. জোবাইদা রহমান কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের সাংহাইয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের মুখ্য সংগঠক বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন *ফ্রস্ট ব্লাস্ট টি-২০: রানার্স-আপ বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স * অবিস্মরণীয় ৬ ডিসেম্বর: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের

বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সত্য গোপন করে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ২৭৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন দুইড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক প্রবাসীর পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে দুলাল নামক এক ব্যক্তি। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা ও প্রকৃত বিষয়বস্তু গোপন করে বিজ্ঞ আদালতে অসত্য এবং মিথ্যা তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ করছে স্থানীয় জনতা ও ভূক্তভোগীরা।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলা দায়েরকারী দুলাল প্রকৃত নাম দেলোয়ার হোসেন দুলাল প্রকাশ্যে মনা মিয়া কুমিল্লা বাঙ্গরাবাজার থানাধীন দুইড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র। এলাকায় সে একজন মামলাবাজ, সামাজিক শালিস বিচার অমান্যকারী ও পরধন লোভী হিসাবে পরিচিত। পক্ষান্তরে মিথ্যা মামলায় অভিযোক্ত বিবাদীগন অত্যন্ত সহজ সরল এবং নিরীহ মানুষ হিসাবে স্থানীয় সমাজে পরিচিত।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিলা মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন দুইড়া গ্রামের মো: আব্দুস ছালাম নামীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে একই এলাকার সৌদী আরব প্রবাসী মোঃ ফারুক হোসেন নগদ টাকায় ০৬.৫০শতক নাল জমি ক্রয় করিয়া দখল বুঝিয়া পাইয়া ক্রেতা ফারুক হোসেন উক্ত জমি ভরাট করিয়া বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করিয়া দেখভাল করিতে থাকেন বা রহেন।

পরে দেলোয়ার হোসেন দুলাল প্রকাশ্যে মনা মিয়া উক্ত জমির লাগুয়া পশ্চিম পাশের জমি ক্রয় করিয়া দখল বুঝিয়া লইয়া উহাতে ক্ষনন করিয়া মাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে জমিটি গর্ত বা ডোবায় পরিনত করেন। যাহা স্থানীয় এলাকাবাসী দেখিয়াছেন এবং অবগত আছেন বলে সাংবাদিক দের জানান। উভয়ের জমি লাগুয়া এবং পাশাপাশি হওয়ায় ভূমি জরিপে ভুলবসত দাগ নং পরিবর্তন হয়। যা জমির ম্যাপ দেখলে নজরে আসে। তা দেখে লোভের বসবতী হইয়া মনা মিয়া নিজের দখলীয় জমির পরিবর্তে পাশের ফারুক হোসেনের দখলীয় জমি জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করতে থাকে।

এক পর্যায়ে গত ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ রাতের আধারে কুচক্রী মনা মিয়া ৪-৫ জন অজ্ঞাত লোক নিয়ে উক্ত জমি হতে বিভিন্ন প্রজাতির অনেকগুলো গাছ কাটিয়া ফেলে। খবর পেয়ে উল্লেখিত প্রবাসীর স্ত্রী বাড়িতে আসিয়া ঘটনা দেখিয়া মনা মিয়ার বিরুদ্ধে টনকী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৈয়বুর রহমান ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিরোধ মিমাংশার লক্ষে টনকী ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে উভয় পক্ষকে পর পর তিন দফা নোটিশ করলে মনা মিয়া একবারও ইউনিয়ন পরিষদে হাজির না হওয়ায় উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যান ভূক্তভোগীকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

ওই পরামর্শে প্রবাসীর স্ত্রী ভূক্তভোগী মোসাঃ রোকসানা আক্তার বাঙ্গরা বাজার থানায় হাজির হইয়া অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাঙ্গরা বাজার থানা অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি তদন্তপূর্বক সুষ্ঠ মিমাংশার জন্য এসআই আবু তাহের কে দায়িত্ব প্রদান করেন। এসআই আবু তাহের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন মনা মিয়া প্রকৃত মালিক ফারুক হোসেনের গাছ কাটিয়া জমিতে ফেলে রাখেন। তখন এসআই আবু তাহের ফারুক হোসেনের স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে কর্তনকৃত গাছ গুলো নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রোকসানা আক্তার বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও কামাল সরকার(৩৫) নামক দুই জন লেবার মার্ফত গাছ গুলো সরিয়ে নেয়।

পরে এসআই আবু তাহের উভয় পক্ষকে স্বাক্ষী প্রমানসহ একাধিকবার থানায় হাজির হওয়ার নোটিশ করলে কুচক্রী মনা মিয়া থানায় হাজির না হয়ে গত ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে ভূক্তভোগীদের (লেবারদ্বয় সহ) বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং ১০৪৬/২৪ (বাঙ্গরা বাজার থানা) ধারা ৪৪৭/৩৭৯/৫০৬ (২)৩৪ পেনাল কোড এবং বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং-৪২৫৪ তারিখ ১৭/১২/২০২৪খ্রি:।

কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বাঙ্গরা বাজার থানায় প্রেরন করলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মামলাটি দ্রুত তদন্তপূর্বক ঘটনার বিবরণ ও সত্যতা যাচাই করে বিজ্ঞ আদালতে সঠিক ঘটনার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এসআই আবুল বাশারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি এই বিষয়ে একাধিক বার উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন কিন্তু বাদী মনা মিয়া একবারও থানায় যায়নি। এরই মধ্যে বাঙ্গরা বাজার থানা হতে এসআই আবুল বাশার অন্যত্র বদলী হয়েগেলে অত্র থানায় কর্মরত এসআই আব্দুল আলীম এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান।

উক্ত মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত ২য় তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম দায়িত্ব গ্রহনের পর কয়েক মাস পার করে বিজ্ঞ আদালতে এই মামলার একটি তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করেন।

আমাদের অনুসন্ধানী টিম উক্ত মামলার দাখিল কৃত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এবং সরেজমিনে গিয়ে স্বাক্ষী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগনের সাথে আলাপ করলে দেখা যায় প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। অর্থাৎ উক্ত মামলার দাখিলকৃত প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে মামলায় উল্লেখিত স্বাক্ষী আবু তাহের বলেন, আমি ওই জমি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিষয়টি অবগত আছি। বিজ্ঞ আদালতে মনা মিয়ার দায়েরকৃত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। মামলায় উল্লেখিত জমিটির ক্রয়সূত্রে প্রকৃত মালিক প্রবাসী মোঃ ফারুক হোসেন। এবং এর পাশের জমির ক্রয়সূত্রে মালিক মনা মিয়া। প্রবাসী মোঃ ফারুক হোসেন জমিটি ক্রয় করিয়া দখল বুঝিয়া পাইয়া নিজ খরচে জমিটি ভরাট করিয়া এতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। পক্ষান্তরে মনা মিয়া তার ক্রয়কৃত জমির মাটি খনন করে অন্যত্র মাটি সরিয়ে নেয় এবং তার জমিটি হালে ডোবা হিসাবে রয়েছে। জমি দুটি পাশাপাশি তবে উভয়ের দখলীয় ভূমি দাগ নং ভূমি জরিপে ভুল বসত পরিবর্তন হয়েছে। জমির ম্যপ দেখে এ বিষয়টি নজরে আসার পরে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

অর্থাৎ দলিলে প্রবাসী মোঃ ফারুক হোসেন এর ক্রয়কৃত দখলীয় জমিটি পূর্ব পাশে এবং মনা মিয়ার ক্রয়কৃত দখলীয় জমিটি পশ্চিমপাশে। এখন দাগ ভুলের কারনে এবং ফারুক হোসেনের দখলীয় জমিটি হালে উন্নত হওয়ায় মনা মিয়ার লোভের নজর পড়ে ঐ জমির উপর। আর তাই মনা মিয়া জমিটি নিজের বলে দাবি করে আসছে। আমরা জানি, ভুলবসত এক জনের জমির দাগ অন্যের নামে হলে তা সংশোধন করা তার নিজ দায়িত্ব। নৈতিক কারনে যার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া। অথচ মনা মিয়া করছে তার ভিন্ন। সে নিজের ক্রয়কৃত জমিকে ডোবা বানিয়ে অন্যের উন্নত জমিকে নিজের দাবি করে এবং দখল নেওয়ার জন্য নানা কৌশল ও পায়তারা করতে থাকে।
বিষয়টি স্থানীয় জনগন একাধিক বার মিমাংশার চেষ্টা করেও পরধনলোভী মনা মিয়ার কারনে ব্যর্থ হয়েছে। পরে মনা মিয়া একদিন রাতের আধারে লোকজন নিয়ে ফারুক হোসেনের লাগানো গাছ গুলো কেটে ফেলে। পরে এবিষয়ে ফারুক হোসেনের স্ত্রী প্রথমে এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট গাছ কাটার বিচার চাইলে মনা মিয়া বিচারে উপস্থিত না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকাবাসী এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিলে ফারুক হোসেনের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি সমাধানের জন্য থানা হতেও উভয় পক্ষকে স্বাক্ষী প্রমানসহ একাধিক বার থানায় যাওয়ার আহব্বান করেন। থানা কর্তৃপক্ষের ডাকে রোকসানা আক্তার প্রতিবার স্বাক্ষী প্রমানসহ থানায় উপস্থিত হলেও মনা মিয়া থানায় না গিয়ে কালক্ষেপন করিয়া পরে বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দেয়। আমার জানামতে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। পরে মামলাটির বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিজ্ঞ আদালত বাঙ্গরা বাজার থানায় প্রেরন করলে প্রথমে এসআই আবুল বাশারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি এই বিষয়ে একাধিক বার উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন কিন্তু বাদী মনা মিয়া একবারও থানায় যায়নি। এরই মধ্যে বাঙ্গরা বাজার থানা হতে এসআই আবুল বাশার অন্যত্র বদলী হয়েগেলে অত্র থানায় কর্মরত এসআই আব্দুল আলীম এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান।

আবু তাহের আরও বলেন, ইতিমধ্যে বাঙ্গরা বাজার থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এই মামলার বিষয়ে যেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তাতে দেখা যায় প্রকৃত ঘটনার সাথে প্রতিবেদনে উল্লেখিত ঘটনার কোন মিল নাই। প্রতিবেদনে আমার নামে যে সাক্ষ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। এই মামলার বিষয়ে আমি আবু তাহের কারো কাছে এমন কোন সাক্ষ্য দেইনাই।

তাহলে আপনার নামে তদন্ত প্রতিবেদনে কেনো এমন সাক্ষ্য উল্লেখ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমি জানিনা, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাই বলতে পারবেন। তবে আমি যা জানি তাই আপনাদের বলেছি।

ঘটনা অনুসন্ধান কালে বিষয়টি শুনে স্থানীয় এলাকার অনেকেই এগিয়ে আসেন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু শুনে নানা ধরনের মন্তব্য ও প্রতিকৃয়া করতে দেখা যায়। এসময় আমাদের প্রতিনিধি উপস্থিত এলসকাবাসীর নিকট প্রকৃত ঘটনার সাথে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ের পার্থক্য কি জানতে চাইলে তারা আবু তাহেরর বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে বলেন দেলোয়ার হোসেন (দুলাল) প্রকাশ্যে মনা মিয়া পরের সম্পদের লোভে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সে এলাকার শালিস, মাতব্বর, মেম্বার, ইউপি চেয়ারম্যান, থানা কাউকে মানে না। সে একজন মামলাবাজ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এলাকার সাধারণ জনগন মিথ্যা মামলার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেনা। তাহলে থানা পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে এমন প্রতিবেদন কেনো দিয়েছে বলে আপনারা মনে করেন জানতে চাইলে তারা বলেন হতেপারে মনা মিয়া তদন্ত কর্মকর্তাকে আর্থিক ভাবে ম্যানেজ করে ওই প্রতিবেদন করিয়েছেন।

দখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আলীমকে যা সঠিক প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করার জন্য বলে দিয়েছি। তিনি প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করেছেন এটা তিনিই বলতে পারবেন।

এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্ত আব্দুল আলীম বলেন, ওই মামলার বাদীকে অনেক বার থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি দেখা করেনাই। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে অধিকাংশ সময়ই তাকে পাওয়া যায়নি। তাই এই মামলার ব্যপারে আমার কাছে যা সঠিক মনে হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে সেইভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে কে অপরাধী কে নিরপরাধ তা বিজ্ঞ আদালত বিচার করবে। এখানে আমার আর কিছু বলার নেই। জনগন বলাবলি করছে আপনি নাকি আর্থিক ভাবে ম্যানেজ হয়ে বাদীর পক্ষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই আব্দুল আলীম বলেন, এই মামলার বিষয়ে আমি কারো কাছ থেকে একটি চাও খাইনি। কে কি বলছে এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যপার।

উল্লাখিত ঘটনার বিষয়ে জানতে উক্ত মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন দুলাল প্রকাশ্যে মনা মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগা যোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com