1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগ তফসিল ঘোষণা আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় আইন ও অধিকার ফাউন্ডেশন, ফেনী জেলা শাখার কম্বল বিতরণ ১০ ডিসেম্বর “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েন অ্যাডভোকেট মোঃ এনামুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট নিজাম হাজারীর নির্দেশে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে সক্রিয় লন্ডন আ’লীগ নেতা আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করতে সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নরসিংদীর রায়পুরায় সন্ত্রাস দমনে কম্বিং অপারেশন আসছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেগে ওঠো জাতি—ন্যায় তোমার হাতে আগুন হয়ে অপেক্ষা করছে বিচারবহির্ভূত হত্যা–গুমের সবচেয়ে বড় শিকার বিএনপি: তারেক রহমান বিজিএমইএ’র বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে আরও ৪ হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি কে কোথায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬৩ বার দেখা হয়েছে

এনসিবির তথ্যানুযায়ী এখন নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে। অন্য তিনজনের অবস্থান পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও শরিফুল হক ডালিমের সম্ভাব্য অবস্থান পাকিস্তান অথবা লিবিয়ায়, আবদুর রশীদের সম্ভাব্য অবস্থান লিবিয়া অথবা জিম্বাবুয়েতে এবং মোসলেহ উদ্দিনের সম্ভাব্য অবস্থান পাকিস্তানে।

পাঁচ খুনিকে ফিরিয়ে আনার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কার্যতালিকার সবচাইতে অগ্রাধিকার বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর। আমরা নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর সম্ভাব্য অবস্থান জানি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে আমরা কানাডা সরকারকে বিবাদী করে মামলা করেছি; পাশাপাশি সুসম্পর্কের ভিত্তিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি তাকে দেশে আনা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে আমারা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। তাকে ফেরত আনার বিষয়েও আমরা আশাবাদী।’

অন্য তিন খুনির অবস্থানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের অবস্থানের বিষয়ে একেক সময় আমরা একেক রকম তথ্য পাই। অবস্থান নিশ্চিত হলে সরেজমিন বিষয়টি তদন্ত করে তাদেরও দেশে ফেরানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দেন। নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদন্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। ১২ আসামির মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। তারা হলো সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদ। ২৫ বছর ভারতে আত্মগোপনে থাকার পর গত বছরের ৬ এপ্রিল ঢাকার গাবতলী থেকে গ্রেফতার হয় আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ১১ এপ্রিল রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হয় তার। ফাঁসির দন্ড পাওয়া আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।

এনসিবির তথ্যানুযায়ী ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট নূর চৌধুরীর বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। যার নম্বর এ-২৬৯১/৮-২০০৯। নোটিস জারির কিছুদিন পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ নোটিসের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। একইভাবে রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে রেড নোটিস জারি হয় ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি; যার নম্বর এ-২৫/১-২০০৯। পরে একই বছরের ২৬ জুলাই নোটিসের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। শরিফুল হক ডালিমের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারি হয় ২০০৯ সালের ২৮ জুন; যার নম্বর এ-১৮১১/৬-২০০৯। পরে নোটিসের মেয়ার পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। খন্দকার আবদুর রশীদের বিষয়ে রেড নোটিস জারি হয় ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট, যার নম্বর এ-২৬২০/৮-২০০৯। রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের বিষয়ে রেড নোটিস জারি হয় ২০০৯ সালের জুনে। যার নম্বর এ-১৮৩৬/৬-২০০৯। এনসিবি কর্মকর্তারা জানান, জীবিত পাঁচ খুনিকে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিবি ঢাকার কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ইন্টারপোল কানাডা ও ওয়াশিংটনে এবং ইন্টারপোল সদর দফতরে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিন খুনির সুনির্দিষ্ট অবস্থানের বিষয়ে তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। এ বিষয়ে এনসিবি সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া আসামিদের বাংলাদেশে আনার বিষয়ে পর্যালোচনা ও এ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্সের সর্বশেষ সভা ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল হলে ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com