সংবাদ প্রতিবেদক: কাজল : সরকারি অনুমোদন অনুযায়ী ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে কাজী ইসহাক কাজীর এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করার অনুমোদন রয়েছে কাজী ফরিদ উদ্দিন কাজীর, কিন্তু অভিযোগ রয়েছে যে ফরিদ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সীমা অমান্য করে ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন – যা আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলা উভয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে; পাশাপাশি বি-ও,এফ ইমাম রফিক ও তার ছেলে গালিফ, যারা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তারা ফরিদ উদ্দিনের বই ব্যবহার করে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসহাক কাজীর নির্ধারিত এলাকায় কাজ করছেন—এর প্রমাণ হিসেবে বই, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট এবং স্থানীয় সালিশির নথিপত্র বিদ্যমান এবং এসব নথি বর্তমানে ইসহাক কাজীর নিকটে সংরক্ষিত রয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে যে ফরিদ উদ্দিন কাজীর মোট তিনটি বাড়ি রয়েছে; এর মধ্যে দুটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত-একটি বাড়ি নেশাখোরদের স্থায়ী আড্ডায় পরিণত হয়েছে যেখানে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের প্রমাণ রয়েছে, আরেকটি বাড়ি ঝোপঝাড়ে ঢাকা নির্জন পরিবেশে পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, যা এলাকাবাসীর জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে; তার তৃতীয় বাড়ি সংরক্ষিত সরকারি কাগজে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত—মারিয়ালী, হোল্ডিং নং ২০৬/৩, অঞ্চল-৩, রশিদ নং ৯৫১১৭, বাবার নাম মৃত সামসুদ্দিন; জমা টাকার পরিমাণ ৮৫৪ টাকা, তারিখ ২৮-০৯-২০১৭ ইং।
এছাড়া ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইসহাক খন্দকার (পিতা: মৃত ইব্রাহিম খন্দকার) ফরিদ উদ্দিন কাজীর বিরুদ্ধে জিএমপি সদর, গাজীপুরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যা অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে; অভিযোগপত্রসহ বহুমুখী প্রমাণপত্র ইতোমধ্যে সংগ্রহে রয়েছে এবং ধাপে ধাপে উন্মোচিত করা হবে – সবকিছু হার্ড কপি আকারে ইসহাক খন্দকারের নিকটে সংরক্ষিত।
স্থানীয়দের প্রশ্ন স্পষ্ট—একজন সরকারি অনুমোদিত কাজী যদি নিজের দায়িত্বসীমা ভেঙে ভিন্ন ওয়ার্ডে বেআইনি কার্যক্রম চালান, নিজ বসতবাড়ি যদি মাদকাসক্তদের আড্ডা ও উপদ্রবের কেন্দ্রে পরিণত হয়, তবে জনগণের আস্থা ও সামাজিক স্থিতি কোথায় দাঁড়াবে; তাই জনগণের দাবি এককথায়—অবিলম্বে স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে ফরিদ উদ্দিন কাজী ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়মের সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো কাজী তার অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘনের সাহস না পায়।