ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আরাকান রাজ্যে হিউম্যানেটরিয়ান প্যাসেজ করার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা উদ্বীগ্ন। তিনি বলেন, সংবাদপত্র মারফত জানতে পারলাম, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ সাহেব বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আরাকান রাজ্যে হিউম্যানেটরিয়ান প্যাসেজ করার ব্যবস্থা করা হবে বাংলাদেশ থেকে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রশ্ন যা গ্রহণ করার আগে, সবগুলো রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করা দরকার ছিল। তিনি বলেন, এ ধরনের প্যাসেজ যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত গাজায় ত্রাণের জন্য জর্দান হয়ে করা হয়েছে। আমরা চাইনা আমাদের দেশটা গাজায় পরিণত হোক। এমনিতেই এদেশে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার তাদেরকে ফেরত পাঠানোর কোনো চেষ্টাই করেনি। বাংলাদেশ এমনিতেই এরকম একটা জটিলতার মধ্যে রয়েছে। তার উপর এরকম একটা বড় সিদ্ধান্ত সরকারের একা একা নেয়া ঠিক হয়নি বলে বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের সাথে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতা জড়িত আছে। যদি এটা জাতিসংঘের চাওয়া হয়, যদি সমস্ত মানুষের সমর্থন এ ব্যাপারে থাকে তাহলে বিএনপি বিশ্বশান্তির যে কোনো উদ্যোগকেই সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখা বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে গণসংযোগের অংশ হিসেবে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শেখ বাজার ও বড় খোচাবাড়িতে দুটি পৃথক জন সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন। বিএনপি সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জন সমাবেশে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে। আমরা ষ্পষ্ট নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। নির্বাচন আর সংষ্কারকে পরষ্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় সবচেয়ে ভালোভাবে দেশের প্রয়োজনীয় সংষ্কারের কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এদেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টানসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হাজার বছরের, যা নষ্ট করেছে বিগত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকার। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলায় সাম্প্রদায়িকতার উষ্কানি দেবার জন্য পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন কমিটির সদস্য রমেশ সেন কে দায়ী বলে উল্লেখ করেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার আগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দিকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন।
জাকির মোস্তাফিজ মিলু