ফেনী প্রতিনিধি:-দাগনভূঞা পৌর শহরে দুইটি সড়ক সংস্কার কাজে বাধা দিয়েছেন কিছু দুর্বৃত্তরা এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন ঠিকাদার মো: আবদুল কাদের।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দাগনভূঞা পৌরসভার ই-টেন্ডার নং-১০/২০২৭- ২০২৫ দুই কাজের টেন্ডার ড্রপ করার পর থেকে দাগনভূঞার অজ্ঞাত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা কাজ প্রত্যাহার করতে বিভিন্নভাবে হুমকী দিতে থাকে। প্রত্যাহার না করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর কার্যাদেশ পাওয়ায় গত ২২ জুলাই ১৫/২০জন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী দাগনভূঞা বাজারে ঠিকাদারকে খুঁজতে থাকে। সেই দিন বেলা ১২টার দিকে ফাজিলের ঘাট রোডে ফাইন ওভারসীজেও খোঁজ করে।
রামনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা আবদুল কাদের অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মেরে ফেলার হুমকী দেয় ও অফিসের সহকারীদের অফিসে জায়গা না দেওয়ার জন্য হুমকী দেয়। একইদিন বেলা ১টার দিকে ফেনী রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে গিয়েও খুঁজে না পেয়ে গালাগালি করে। ওইসময় তারা কামরুল উদ্দিন ও আবদুল কাদের বাবুকেও গালমন্দ করে। তাদের সবার মুখে মাক্স থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলে তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন।
আবদুল কাদের জানান, গত ২৩ জুলাই দাগনভূঞা পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী ককর্মকর্তা স.ম আজহারুল হক দাগনভূঞা বাজারের জন্য পুরাতন থানা রোড ও হাজী ক্লিনিক থেকে সওদাগর বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজ উদ্ভোবন করেন। টেন্ডার নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করার সময় অফিস ফরমেট অনুযায়ী রাস্তার পাশে সাইনবোর্ড লাগালে রাতে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেয় ও স্টীকার ছিঁড়ে ফেলে। পরে তার লোকজন আবারও ঢালাই করে সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন করলে গত ২৭জুলাই রাতে আবারও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবীতে সাইনবোর্ড কেটে নিয়ে যায়। তিনি পৌর উন্নয়ন কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম ও জীবনহানির আশংকার কথা উল্লেখ করেন।
ঠিকাদার আবদুল কাদের আরো বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পর স্থানীয় ও জেলার গণমাধ্যম গণ বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচার করেন।কিন্তু আজও আমরা কাজ শুরু করতে পারছিনা প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ায়।আমি আইনগত সহযোগীতা চাই।
দাগনভূঞা থানা সূত্রে সাধারন ডায়েরির সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন বলেও জানা যায়।