বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : দেশের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম সেক্টরের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর উপর আরোপিত ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো আটাব সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।
সেক্টরের শীর্ষ উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নেতা, এজেন্সি মালিক ও পেশাজীবীদের উপস্থিতিতে সভাটি হয়ে ওঠে একটি শক্তিশালী ঐক্যের মঞ্চ।
“ট্রাভেল সেক্টরকে বাঁচাতে হলে অন্যায় ও অযৌক্তিক আইন বাতিল করতেই হবে”—বক্তাদের দাবি
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে নানা জটিল বিধিনিষেধ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অযৌক্তিক শাস্তিমূলক ধারার কারণে ট্রাভেল সেক্টরে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
তারা বলেন—
“মানুষ বিদেশে যাওয়া, টিকেটিং, ট্যুরিজম—সবকিছুতেই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অথচ নীতিনির্ধারণে এই সেক্টরের মতামত নেওয়া হয় না। যে কালো আইন ব্যবসাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তা বাতিল ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”
সভায় উপস্থিত প্রধান ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের বক্তব্য
কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন—
ফরিদ উদ্দিন মজুমদার, মহাসচিব, হাব
তিনি বলেন, “ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর স্বার্থরক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ। অবিলম্বে নীতিমালা সংস্কার প্রয়োজন।”
মোঃ জালাল উদ্দিন টিপু, আহবায়ক, আটাব সদস্য কল্যাণ ঐক্যজোট
“ট্রাভেল সেক্টরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আমরা মাঠে আছি, থাকব।”
মো: আবুল খায়ের, এমডি, এয়ার ট্রিপ লিমিটেড
গোফরান চৌধুরী, আহ্বায়ক, আটাব সংস্কার পরিষদ
জুম্মন চৌধুরী, সদস্য সচিব, আটাব সংস্কার পরিষদ
সবুজ মুন্সি, এমডি, নড়িয়া ট্রাভেল এজেন্সি ও মুখপাত্র, আটাব সংস্কার পরিষদ
সৈয়দ হাবিবুল্লাহ, সাবেক সভাপতি, টিডাব
শাহীন আলম জয়, স্বত্বাধিকারী, ফ্লাই এয়ার
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—
গোলাম মোহাম্মদ ভূইয়া মানিক, খালিদ ইকবাল বুলবুল, নুরুল আলম শাহীন, ফিরোজ শিকদার, আমিরুল ইসলাম অনিক, সৈয়দ জাকির হোসেন বাবুল, মোহাম্মদ আজাদ, একরামুল হক, মাহবুব হাবিব শৈবাল, মাওলানা মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, বাহার আলম মজুমদার, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, রতন, ফাতেমা খাতুন, নুর জাহান, নাজিম উদ্দীন, হাফিজুর রহমান, আতিকুল রহমানসহ আরও অনেকে।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া
সভায় অংশগ্রহণকারী শতাধিক উদ্যোক্তা ও মালিকরা “কালো আইন বাতিল চাই” দাবিতে গণস্বাক্ষর প্রদান করেন। আয়োজকরা জানান—
এই স্বাক্ষর সংগ্রহ সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দ্রুত জমা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা আসতে পারে।
বক্তাদের মূল দাবি
ট্রাভেল সেক্টরের বিরুদ্ধে বিদ্যমান অন্যায় ও অযৌক্তিক আইন বাতিল
লাইসেন্স ও নবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণ
স্বেচ্ছাচারী জরিমানা, শাস্তিমূলক ধারা ও রুলস সংশোধন
সেক্টর–বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন
সিদ্ধান্ত গ্রহণে ট্রাভেল সেক্টরের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি
সভা শেষে নেতারা একযোগে ঘোষণা দেন—
“এই আন্দোলন ন্যায়বিচার ও বেঁচে থাকার সংগ্রাম। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের ন্যায্য লড়াই চালিয়ে যাব।”