সংবাদ প্রতিবেদক, কাজল : সমস্ত জাতির উদ্দেশ্যে বলা যায়-একজন মানুষের সত্যিকার শক্তি তার ব্যবহার, আচরণ ও মানসিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে। সম্মান, সম্পর্কের দৃঢ়তা ও আত্মসম্মান বজায় রাখতে যে দৃষ্টিগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন, তা কেবল ব্যক্তিগত জীবনে নয়-পুরো সমাজের জন্য অপরিহার্য।
মানুষকে অযথা বিরক্ত না করা, সময়মতো প্রতিশ্রুতি রাখা, ঋণ শোধ করা এবং অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করাই প্রকৃত ভদ্রতার পরিচয়। কথোপকথনের সময় মনোযোগ দিয়ে শোনা, ছবি বা ব্যক্তিগত বিষয় দেখার সময় গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং অযাচিত উপদেশ না দেওয়া আমাদের সামাজিক পরিমণ্ডলকে করে তোলে সুস্থ ও সুশৃঙ্খল।
প্রত্যেকের সাথে সমান সম্মান দেখানো-সে হোক সাধারণ মানুষ কিংবা পদমর্যাদায় উচ্চ- সভ্যতার অন্যতম শর্ত। কারো আয়ের উৎস, ব্যক্তিগত বিষয় বা গোপন তথ্য নিয়ে প্রশ্ন না তোলা, সামান্য সাহায্যের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং ছোট-বড় প্রতিটি উপকারের মূল্যায়ন করা মানুষের আসল মহত্ব।
বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে হিংসা, খোঁটা কিংবা অযথা প্রত্যাশা বাদ দিতে হবে। মতভেদ হলে অশান্তি না বাড়িয়ে শান্ত দৃষ্টি বজায় রাখা, অন্যের দোষ গোপন রাখা এবং পেছনে বদনাম না করা সম্পর্ককে করে তোলে অটুট।
কাউকে লজ্জা দিয়ে নয়, বরং ভদ্রভাবে সংশোধন করা, কারো ধর্ম বা জাতিকে অবমাননা না করা এবং যে শোনার মানসিকতা নেই তাকে জোর না করা সামাজিক ভারসাম্যের দিকনির্দেশনা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, অনুমতি ছাড়া কারো জিনিস ব্যবহার না করা এবং অন্যের প্রতি দয়া ও সহমর্মিতা দেখানো হলো প্রকৃত মানবিকতা।
সবশেষে, এই দৃষ্টিগুলো শুধু নিয়ম নয়-এগুলো হলো জীবনকে অর্থবহ করে তোলার আলোকবর্তিকা। যে এগুলো মানবে, সে সম্মান পাবে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখবে এবং নিজের আত্মসম্মান অটুট রাখবে। আজ আমাদের প্রত্যেকেরই এই শিক্ষাগুলো আঁকড়ে ধরতে হবে-নাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের মর্যাদা খুইয়ে ফেলব।