বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিপিএলের চলতি আসরে দারুণ শুরু করেছিল খুলনা টাইগার্স। প্রথম চার ম্যাচের সবগুলো জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল তারা। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের মুখ দেখা দলটি ষষ্ঠ ম্যাচে কুমিল্লার কাছে পেয়েছে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। ৩৪ রানের জয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা।
খুলনার হয়ে রান তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এনামুল হক বিজয়। তবে ১২ বলে ১৯ করে তার বিদায়ের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এরপর শুধু হারের পথে এগিয়েছে তারা।
আরেক ওপেনার এভিন লুইস করেন ১০ রান। আফিফ হোসেন ও আকবর আলী দুজনেই ৫ রান করেন। তবে এদিন খাতা খুলতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। এ অবস্থায় মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় খুলনা।
এ পরিস্থিতি থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি বিজয়ের দল। খুলনাকে অল্পেই গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেন আমের জামাল। তার ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট শিকারের দিনে খুলনা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিয়ে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন তিনি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ দুই ব্যাটারের জুটিতে আসে ৬৯ রান। তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন।
ইনিংসের দশম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। কুমিল্লার দুই ওপেনারকেই ফেরান এ বাঁহাতি স্পিনার। প্রথমে ৪৫ রান করা লিটনকে বোল্ড করেন নাসুম। ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ২৮ বলে ২১ রান করা রিজওয়ানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
তিনে নেমে উইল জ্যাকস বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ২৭ বলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি এ ব্যাটার। খুশদিল শাহ ব্যক্তিগত ৪ রানে রান আউট হন। সাজঘরে ফেরার আগে তাওহীদ হৃদয় করেন ১৬ রান।
কুমিল্লার ইনিংসের শেষটা এগিয়ে নেন জাকের আলী অনিক। তার ৮ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ক্যামিওতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় দল। খুলনার হয়ে নাসুম ও ফাহিম আশরাফ দুটি করে এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম একটি উইকেট নেন।