বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ার তরুন সাংবাদিক ও সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট নুরুল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। গতমাসে তিন সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে আর চলতি মাসের ৪দিনে একটি লাশ উদ্ধার দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। তবে আর কত সাংবাদিকের জীবনহানি ঘটে তা অনিশ্চিত। সম্প্রতি নুরুল আমিন পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দেবার এক সপ্তাহের মধ্যেই তার লাশ ঝুলতে হয়েছে। নুরুল আমিন দৈনিক প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় কক্সবাজার জেলায় কাজ করতো।
তার এ মৃত্যুতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
জানাগেছে, বেশ কিছুদিন যাবত সে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে দাবি করা হয়েছে। একই সাথে সাংবাদিক সংগঠন সমুহের মতামতের ভিত্তিতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি করছে সংগঠনটি।
গত সপ্তাহে সংবাদকর্মী নুরুল আমিন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তার সাথে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর পেছনে কারা জড়িত তা স্পষ্ট করে গেছে। আর কোন সাংবাদিকের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর খবর আমরা শুনতে চাই না।
রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক দলের লোকজন, সন্ত্রাসী- বিচ্চু-ক্যাডারদের হুশিয়ার করে দেওয়া উচিত যে, সাংবাদিকরা রোহিঙ্গা নয়; তারা এই রাষ্ট্রের ফোর্থ পিলার। তাদেরকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোনরূপ অসহযোগিতা বা হয়রানি করা যাবে না। দেশ গঠনের পর থেকে এ যাবত অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন-নিরপেক্ষ, সুস্থ্যধারার গণমাধ্যম চাই ; নয়তো বাকি যুদ্ধটা হোক গণমাধ্যমের।