শারমিন আক্তার : বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হলো ওয়ার্ল্ড এন্ডোডোন্টিক ডে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য সচেতনতামূলক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম এবং বাংলাদেশ এন্ডোডোন্টিক সোসাইটির সভাপতি ও গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
দিবস মানেই সচেতনতা—এই মূল ভাবনাকে সামনে রেখে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল:
“যারা আক্রান্ত দাঁতকে সফলতার সঙ্গে এন্ডোডোন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ষা করছেন, সেই সকল এন্ডোডোন্টিস্ট ও অনুমোদিত ডেন্টাল চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং জনগণকে দাঁত রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “এন্ডোডোন্টিক চিকিৎসা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই চিকিৎসক নির্বাচনে সচেতন হওয়া অত্যাবশ্যক। আমাদের দেশে এ চিকিৎসার সফলতা এখন উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ে। এজন্য শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরাই নয়, বিদেশীরাও আমাদের দেশের ডেন্টাল চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখছেন।”
সহসভাপতি ডা. শহীদুল হাসান বাবুল বলেন, “দাঁতে ব্যথা মানেই দাঁত ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া আত্মঘাতী। প্রতিটি দাঁতের রয়েছে আলাদা কাজ, আর সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সুস্থ দাঁতের ভূমিকা অপরিসীম।”
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসান বলেন, “দাঁত সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। ডিগ্রিবিহীন হাতুড়ে চিকিৎসকদের কাছ থেকে অপচিকিৎসা গ্রহণ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
দপ্তর সম্পাদক ডা. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, “দাঁতের ব্যথায় ঘরোয়া চিকিৎসা বা ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে সাময়িক স্বস্তি খোঁজার প্রবণতা বিপজ্জনক। এতে জটিলতা ও ব্যয়ের ঝুঁকি বাড়ে, চিকিৎসাও হয়ে ওঠে সময়সাপেক্ষ।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক আব্দুল কাদের রুবেল, ডা. রায়হানা সানি, ডা. হাসান আলী, ডা. লায়লা পলি, ডা. মাহমুদ হোসেন, অধ্যাপক মুনিরা ফেরদৌসি, ডাঃ ফাহাদ করিম, ডাঃ এহসানুল নবী, অধ্যাপক শিরিন সুলতানা, ডা. রাফেজা প্রমুখ।
প্রশংসনীয় এ আয়োজনে বাংলাদেশ এন্ডোডোন্টিক সোসাইটির সদস্যদের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য ডেন্টাল চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেন।