বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নির্বাচনের আগে বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। সব রকমের যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে বাধা দেওয়া হয় সেসব কর্মসূচিতে। এরপরও বিপুল উপস্থিতি হয় প্রায় প্রতিটি সমাবেশেই। সবশেষ ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশেও বিপুল উপস্থিতি পায় দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত সে কর্মসূচি রূপ নেয় ‘মহা বিশৃঙ্খলায়’। সেদিনের পর ধরপাকড়ের মধ্যে পড়ে আত্মগোপনে চলে যান দলটির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এরপর নির্বাচন হয়ে যায়, শপথ নেয় সরকার। অন্যদিকে আন্দোলনও অব্যাহত রাখে ‘রাজপথের বিরোধীদল’ বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি দুই দফা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে তাতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আর আগের মতো নেই। বলা চলে নেতাকর্মীদের মাঝে আর আন্দোলনের জোশ নেই, জৌলুস নেই দলীয় কর্মসূচিতে। তবুও এ পরিস্থিতিতেই আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায় দলটি।
দল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা, পুলিশের কঠোর মনোভাব, নেতাকর্মীদের আত্মগোপন, কারাভোগ ও হতাশার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে তারা এও দাবি করছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিস্ফোরণ ঘোষণা দিয়ে আসে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
নির্বাচনের পরের দুদিন এবং গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিএনপি ছয়দিনের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে বরাবরের মতো সরব রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য কারামুক্ত সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে দেখা যাচ্ছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী গুটিকয়েক নেতা এবং শ্রমিক দলের একটি অংশকে দেখা যাচ্ছে।
কর্মসূচিতে কত সংখ্যক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে, জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জাগো নিউজকে বলেন, কেন্দ্র থেকে সব ইউনিটে লেখা সম্বলিত লিফলেট ডিজাইন করে দেওয়া হয়েছে। ইউনিটের দায়িত্বশীলরা নিজ উদ্যোগে তা প্রিন্ট করে বিতরণ করছেন। এ কারণে সুনির্দিষ্টভাবে লিফলেটের পরিমাণ এবং খরচ বলা সম্ভব নয়। তবে জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছানোর জন্য যত লিফলেট ছাপানো দরকার, তাই ছাপানো হবে।
চলমান কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সরকারের দুঃশাসনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, মানুষ দুঃখে-কষ্টে আছে, শান্তিতে নেই। জনগণের কাছে এসব বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে।