1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীর জেলায় গলাচিপায় উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কালিহাতীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন ভয়-সন্ত্রাসে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না: বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দাউদকান্দিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন মহান বিজয় দিবসে দাউদকান্দিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন উপজেলা বিএনপির বেপারী মোহাম্মদ তিতুমির কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণের আহ্বান মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

আকস্মিক বন্যায় সর্বশান্ত কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের কৃষক

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
  • ২২২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিতে গত এক সপ্তাহে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে জেলা সদর, উলিপুর, রাজারহাট, ভুরুঙ্গামারীসহ চিলমারী উপজেলার নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব এলাকার পেঁয়াজ ক্ষেত ও বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ আকস্মিক বন্যার কবলে শত শত একর জমির পেঁয়াজ ও বোরো আবাদ নিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন এসব অঞ্চলের কৃষকরা।

আকস্মিক এ বন্যায় অপরিপক্ক পেঁয়াজ ও বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার ভয়ে অনেকেই তা জমি থেকে তুলে ফেলছেন। তবে জমি থেকে তুলেও সমস্যার সমাধান হয়নি, বরং এতে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। অপরিপক্ক এসব পেঁয়াজ রোদে শুকাতে দিয়েও লাভের আশা দেখছেন না তারা। ফলে ধারদেনা করে চাষ করা ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

রোববার (১০ এপ্রিল) সরেজমিনে জেলার নদ-নদী সমূহের বিভিন্ন চর ও দ্বীপচর ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এসব এলাকার চর ও দ্বীপ চরের নিম্নাঞ্চলে চাষ করা শত শত একর পেঁয়াজ ক্ষেত ও বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আকস্মিক বন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষার জন্য অনেকেই অপরিপক্ক পেঁয়াজ ও বোরো তাড়াহুড়ো করে তুলে এনেছেন। এসব অপরিপক্ক ফসল নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তারা।

কুড়িগ্রাম সদরের শিপেরপাচি এলাকার কৃষক হাসেম মোল্লার স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যায় আমাদের দুই বিঘা জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো তুলে এনে রোদে শুকাচ্ছি। এছাড়াও দেড় বিঘা জমির বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। লাভের আশায় দুটো গরু বিক্রির টাকায় ফসল ফলিয়ে বন্যার পানিতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হলাম।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরপার্বতীপুর এলাকার পেঁয়াজ চাষি হাফিজুর রহমান বলেন, ধারদেনা করে দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আর কিছুদিন গেলেই পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির উপযোগী হতো। কিন্তু অসময়ের বন্যায় অধিকাংশ পেঁয়াজ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে আমার এক থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রাজারহাটের বিদ্যানন্দ এলাকার তিস্তার অববাহিকার পেঁয়াজচাষি আজিজুল হক বলেন, আড়াই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে প্রায় দেড় বিঘা জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এত বড় ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেবো তা আল্লাহই ভালো জানেন!

কুড়িগ্রামের কদমতলা এলাকার বোরো চাষি আইনুল মিয়া বলেন, ধরলা নদীর অববাহিকায় প্রায় চার বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দুই বিঘা বোরো আবাদ তলিয়ে গেছে। অসময়ে এমন বন্যা আগে কখনো দেখিনি।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, অসময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার ওয়ার্ডের গোয়াইলপুরী ও পোড়ার চর এলাকার অন্তত ৬০-৭০ জন কৃষকের বোরো আবাদ ও পেঁয়াজ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে গোয়াইলপুরী এলাকার কৃষক করিম মিয়ার এক একর জমির পেঁয়াজক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। একই এলাকার কৃষক পাষাণ আলির দেড় একর জমির বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর কুড়িগ্রামে প্রায় এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও এক লাখ ১৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমির পেঁয়াজ ও ২৭৫ হেক্টর জমির বোরো আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫৯৩ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, চীনাবাদাম, তরমুজ, বোরো, পাট, ভুট্টাসহ সবজি ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করবো।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ সবকয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার তিন মিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার তিন মিটার, চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার তিন মিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানসহ কুড়িগ্রামে আরও ১০দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন জানান, কুড়িগ্রামে গত ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ আরও বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com