বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে মানুষের যে উন্নতি হয় আজকে বাংলাদেশ তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে। কারণ, যে দল জনগণের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠে, যে দলের নেতাকর্মীরা আত্মত্যাগ করতে পারে একটা জাতির জন্য, জেল-জুলুম সহ্য করতে পারে।
সেই দল ক্ষমতায় আসলে যে নীতি-আদর্শ থাকে, সে আদর্শ নিয়ে চললে একটা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে, আওয়ামী লীগ সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করেছে, আওয়ামী লীগ তা প্রমাণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের জন্য কী করে গেছে? ’৯৬ থেকে ২০০০ আমরা যা অর্জন করেছিলাম, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, বিদ্যুৎ যা মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম, রাস্তা-ঘাট, পুল ব্রিজ থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার বিস্তার ঘটানো, স্বাক্ষরতার হার ৬৫ ভাগে উন্নীত করা।
চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া, ভূমিহীন মানুষের জন্য ঘর করার জন্য জাতির পিতা যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেটা বাস্তবায়ন করা, সব কাজগুলো আমরা একে একে শুরু করি।
বিএনপির সমালোচনা করে ও দশ ট্রাক অস্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছে, একটা চালান ধরা পড়েছে, এরকম কত চালান এসেছে আর গেছে। দেশকে সম্পূর্ণ পরনির্ভরশীল করা, দেশের মানুষের নিরাপত্তা সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করা, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করা, পাঁচ বার দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে ছিল, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এইতো ছিল, প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, মেধাবি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া এবং তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা, শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিবেশ ধ্বংস করা, স্বাক্ষরতার হার আবার কমিয়ে সেই ৪৫ থেকে ৫০ ভাগে কমিয়ে আনা, এই তো দিয়েছিল বিএনপি।
আসন্ন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ (সোমবার) কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে সব থেকে কলঙ্কময় একটি দিন। ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছিল বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র যিনি সৃষ্টি করেছিলেন, যিনি বাংলাদেশের শোষিত-বঞ্চিত, দুঃখী মানুষের জীবনে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন, শোষণ-বঞ্চনা থেকে এ দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়ে একটি উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন, নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন। সেই মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে।