বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনীতির নানা জটিল সমীকরণের মধ্যেও আন্তর্জাতিক স্বর্ণ বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। তাই দেশীয় জুয়েলারি বাজারের অচলাবস্থা কাটাতে ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমানো হলো।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৬৮ হাজার ৮১৮ ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬০ হাজার ৭০ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।
বর্তমানে ভরিপ্রতি এ দাম ২২ ক্যারেটের ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬১ হাজার ৫৮৬ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি দাম ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ আগস্ট সব মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা করে বাড়ানো হয়।
সে সময় স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনীতির নানা জটিল সমীকরণের মধ্যেও বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) ও নানা ধরনের দাপ্তরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণবার আমদানি করতে পারছে না। তাছাড়া চাহিদার বিপরীতে জোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ন/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।