আবু নাছির আহম্মেদ। ইসলামপুর জামালপুর।
জনাব এ. এস. এম. আব্দুল হালিম
কে নিয়ে লেখা
একটি স্বচ্ছ ইমেজের উপাখ্যান
অজপাড়াগাঁয়ের এক মায়ের কোল আলো করে তাঁর আগমন। কালো যে জ্যোত্যিময় হয় সেটা তাঁর ললাটে লেখা ছিল। বাবা মার তৃতীয় সন্তান (জন্মের পরে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় ভাইটির) হয়ে জন্ম গ্রহন করেন, শৈশব কৈশোর কেটেছে দশ ভাই বোনের ভালাবাসায় ভরা মায়া কাননে। আদর্শ স্কুল শিক্ষক বাবার আদর্শে, মাতার স্নেহে, আম, জাম, কাঁঠাল , নারিকেল, সুপারি বিথি ঘেরা কুলকুল ধ্বনিতে বহমান নদীর তীরবর্তী নিভৃত এক গ্রামে বেড়ে উঠা, বড় হওয়া সবই ছিল ভাই বোনের অভাব অভিযোগ শোভিতো, কিন্তু কমতি ছিল না সততার, নিষ্ঠার। একটি সুস্থ চারা গাছ যেমন তার ভবিষ্যত রুপ রেখা বলে দেয় । ঠিক তার জীবনের বাঁক গুলো ছিল ভবিষ্যতের দর্পন । প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্মজীবন সব কিছুতেই ।
প্রাথমিক:- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্কুলের হেডমাস্টার তাকে বলেছিলেন সে একদিন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হবেন। তখন তিনি নিজেই বুঝতেন না ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কি। নিজের পড়াটুকু আপন মনে শেষ করে সারাদিন আনমনা ভাবনায় কাটিয়ে দিতেন। খুবই শান্ত স্বভাবের ছিলেন ছোটবেলা থেকেই।
মাধ্যমিক:- নিভৃত এক অজপাড়াগাঁয়ে ছিল তাঁর বাস । বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূরে হওয়ায় গ্রামে লজিং (স্কুলের কাছে এমন বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা) থাকতেন। পড়াশোনার প্রতি তিনি অসম্ভব মনোযোগী ছিলেন। একদিন রাতে তিনি পড়তে বসেছিলেন । সামনে হারিকেন জ্বলছিল । পরের দিন সকালে তার সহপাঠীরা তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে জানালা দিয়ে দেখতে পায় বাইরে ফুটফুটে সকালের আলো কিন্তু তাঁর (হালিমের) সামনে তখনও হারিকেন জ্বলছে। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে পড়ালেখার প্রতি তাঁর অসম্ভব মনোযোগ। ক্লাস এইট/নাইনে পড়ার সময় সে আরও একটা বাড়িতে লজিং থেকেছেন। তারা এতই দরিদ্র ছিলেন যে নিজেদের খাবারটাও জোগাড় করতে পারতেন না, সেই বাড়িতে সে একদিন সারাদিন তাদের সাথে না খেয়ে থেকেছেন। তাও বাড়িতে আসার কথা চিন্তা করেননি। শেষে ওই বাড়ির মালিক তাকে জোর করে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেন । সে বাড়িতে আসার পথে রাস্তায় ক্ষুধার জ্বালায় মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাঁর ছাত্র জীবন ছিল অত্যন্ত সংগ্রামের। বর্ষা মৌসুমে কোমর পর্যন্ত পানিতে ভিজে বই মাথায় নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন। তিনি রাত জেগে পড়াশোনা করতেন । বাবা তাঁর জন্য সারারাত বসে বসে ছোট্ট মাটির চুলায় চা বানিয়ে দিতেন, যাতে তিনি ঘুমিয়ে না পড়েন।স্কুল জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সুনামের সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।
উচ্চ মাধ্যমিক:- উচ্চমাধ্যমিকের তারুণ্য জীবন তাকে অনেকভাবে আলোড়িত করেছে। তিনি কবিতা লেখা এবং বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে আস্তে আস্তে জড়িয়ে ফেলতে শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়:-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে লেখাপড়ার প্রতি সে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পণ করেন। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের একজন ছাত্র ছিলেন । সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভর্তি হওয়া ছিল খুব কঠিন। খুব বেছে বেছে ছাত্র ভর্তি করা হতো। ছোটবেলা থেকেই মনে লালন করা “সদা সত্য কথা বলিব/সৎ পথে চলব/মিথ্যা বলা মহাপাপ/সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি”, এই নীতিবাক্য গুলো মনে মনে আওড়াতেন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নিয়ম কানুন তার মনকে আরো প্রভাবিত করত সেখানে সুশৃংখল জীবন যাপন তাঁকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে চালনা করে । সেখানে গ্রামের মতো লুঙ্গি পরে ডাইনিংরুমে খাবার খেতে যাওয়া যেত না । প্যান্ট না থাকলে পায়জামা বা পাঞ্জাবি পড়ে যেতে হতো। বড়দের শ্রদ্ধা ভরে সালাম দেওয়ার রীতি ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষের দিকে ১৯৬৯-৭০ সালের দিকের কথা তখন দেশে গণঅভ্যুত্থান চলছে। তিনি আন্দোলনে সব সময় যেতে না পারলেও মাঝে মাঝে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সে সময় তাঁর চাকরির বয়স (২০) না হওয়ায় তখনকার সময় ইপিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। উক্ত পরীক্ষায় সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি তখনকার সময় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বা ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে তাঁর প্রথম চাকরি জীবন শুরু করেন।
মুক্তিযোদ্ধ:-তার অদ্যাবধি তাড়িত কষ্ট মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহন করতে না পারার কষ্ট। পরেক্ষনেই যখন চিন্তা করেন যে তার গ্রাম, পরিবার এবং তার গ্রামের বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহনকারী দের সংগঠিত করার কাজ টা করতে পেড়েছিলেন তখন তার কষ্টটা কিছুটা লাঘব হয়। শশরীরে অংশ গ্রহন না করে সে আপ্রাণ চেষ্ঠা করেছেন দেশের চরম দূরদিনে নিজেকে যুক্ত করার।
চাকরি জীবনের শুরু:- ইপিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বগুড়ায় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে দক্ষিণবঙ্গের ভোলা , সন্দীপ , হাতিয়ায় প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় হয়। ঘূর্ণিঝড়ের চিত্র বাস্তবে প্রশিক্ষনার্থীদের অবলোকন করানোর জন্য তিন মাসের জন্য হাতিয়া, সন্দীপে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ে বহু নারী-পুরুষ শিশুসহ বাড়ি ঘর গাছপালা পশুপাখির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৪৫ জন তরুণ অফিসারের একটি দল সেই ঘূর্ণিঝড়ের বাস্তব চিত্র দেখার জন্য হাতিয়ার দিকে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা বিধ্বস্ত গ্রাম,ঘর বাড়িগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং ১৫ দিন পরেও পানিতে ভাসমান মানুষের লাশ এবং গন্ধ বাতাসে ভাসছে। লাশের গন্ধ তার একটু খারাপ লাগতো। কিন্তু মানুষের সেবার মনোভাব যদি নিজের আত্মাকে ছুঁয়ে যেতে পারে আর তাকে পরিশুদ্ধ করতে পারে তাহলে সেই খারাপ লাগাটা ভালোবাসায় রূপ নেয়। সেদিন থেকেই মানবসেবার ব শুভ সূচনা হয় যা অদ্যাবধি চলছে। গ্রাম গঞ্জের মানুষের পাশে তিনি সব সময় থেকেছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তার দুয়ার ছিল সবার জন্য খোলা। সবাই তাঁকে সহজেই নিজেদের দুঃখ- কষ্টের কথা জানাতে পারতেন।
ব্যক্তি জীবন:-তিনি ব্যক্তি জীবনকে সময় দিয়েছেন খুবই কম। তার যোগ্য সহধর্মিনী সংসার, মেয়েদের সামলিয়েছেন। তিনি অফিসে কোনদিন দেরি করে যাওয়ার কথা তো ভাবতেই পারতেন না বরং পিয়নদের আগে অফিসে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে চেয়ার-টেবিল পরিষ্কার করতেন যা পিয়নদের কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিত। তার ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে চাকরির শেষ জীবন পর্যন্ত কোন অধীনস্থদের সাথে রূঢ় আচরণ তো দূরের কথা উচ্চস্বরে কথাও্ বলেননি। সে সদা স্বল্পভাষী, স্পষ্ট বক্তা, সাবলীল ও মৃদু কন্ঠী ।
শিক্ষা ব্যবস্থায় তার ভূমিকা:- স্বাধীনতার আগে শিক্ষা ব্যবস্থায় ছিল বৈষম্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা হয়ে যায় । তিনি ছিলেন বগুড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের দায়িত্ব পেলেন । তিনি একটি গার্লস’ স্কুলের কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন যে মেয়েদের কেন্দ্রে মেয়েদের পরিবর্তে ছেলেরা বসে পরীক্ষা দিচ্ছে । তিনি শিক্ষকদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষকরা বললেন এদের সামলানো যায় না। তারা এরকমই উশৃংখল যে তাদের মানানো সম্ভব হয় না । তখন তিনি অত্যন্ত সাহসের সহিত সবাইকে (ছেলেদেরকে) রুম থেকে বের করে দেন। তাতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বাইরে থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ কনস্টেবল এর মাথা ফেটে যায়। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি করে। গুলির শব্দে বাইরে রব উঠে যায় “অনেক লাশ পড়ে গেছে!” তখনকার হোম মিনিস্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সমস্ত দায় তাঁর উপর দেন এবং বলেন সামনে নির্বাচন, এরকম পরিস্থিতি হলে সামাল দেয়া কষ্টকর। সেই সময়ের পরিস্থিতি কে তিনি সাহসিকতার সহিত মোকাবেলা করে এবং পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী নকল মুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুতে বিশেষ অবদান রাখেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ:- তিনি তখন ঝালকাঠির সাব ডিভিশনাল অফিসার। ঝালকাঠি সদর থেকে রাজাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ সাতমাইল খাল খনন কর্মসূচি স্বনির্ভর হয়ে করতে হবে। তিনি তখন নিজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মাইলের পর মাইল মোটরসাইকেলের পিছনে উঠে, রোদে পুড়ে স্কুলের ছাত্র ,মাদ্রাসার ছাত্র ,সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেন ।কিন্তু মাঝপথে কাজ থেমে যায়, কেউ স্বনির্ভর হয়ে কষ্ট করে কাজটা করতে চায় না। তাদেরকে আবার উদ্বুদ্ধ করেন । তারা যখন দেখে একজন সৎ , নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা তাদের সাথে জড়িত তখন আবার তারা কাজে ফিরে আসে এবং কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করে । শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেদিন খাল উদ্বোধন করতে যান তার কাজের প্রশংসা করে বলেন কিভাবে অম্ভব করলে। সেই প্রসংশা ছিল তার অনুপ্রেরণা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব সহ তিনি পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং তদানীন্তন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস (ইপিসিএস) এর সাবেক এই কর্মকর্তা মহকুমা ও জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।সরকারের প্রশাসন, আইন, নীতি, কৌশল ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, নন ফরমাল এডুকেশন এর মহাপরিচালক, সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রার, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিচালক, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং এন্ড এ্যান্ড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালক এবং ঢাকা ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
“মানব সেবা,
মানবতার পাশে থেকে মিটে কি
আজন্ম লালিত সাধ।”
ঠিক তার জীবনের রুপ রেখা আজ সেদিকেই। সরকারী উচ্চ মহলের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নিজের গ্রাম, থানা ,জেলার বিভিন্ন জনেসবা মূলক কার্যক্রমে তার ভুমিকা ছিল অনস্বীকার্য। চাকুরী সুবাদে সে নিজ জেলার বাইরে বিভিন্ন জনসেবা মূলক কাজে অনন্য স্বাক্ষর রাখেন। সরকারী কাজের ছুটির অবসরে দু দণ্ড আয়েশী ভংগিতে না কাটিয়ে সে আবার শুরু করেছেন জনসেবা, কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস। দেশর সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব কে মজবুত করতে তার নিজ থানায় মনোনয়ন প্রত্যাশী। দুই দিকে দুই করালগ্রাসী নদ-নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষের দুঃখ-দুরদশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন চাকুরী জীবন থেক অদ্যাবধি। রাস্তা -কালভার্ট , কত নিভৃত গ্রাম বিদ্যুত সেবার আওতায় এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার সততা ও ন্যায়- নিষ্ঠার হাজারও প্রমাণ রয়ে গেছে তাঁর কর্মজীবনে। তাঁর সততার উদাহরণ সারা কর্ম জীবন এ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোন অন্যায় অপরাধের প্রমাণ মেলা দুষ্কর। হয়রানি মূলক কোন মামলা দিয়ে আজ পর্যন্ত তাকে দমন করা যায়নি। তিনি খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। পোশাক পরিচ্ছদে তার সাধারণ জীবন যাপনের ছাপ দেখে তার বাবা তাকে বলেছিলেন ,”নয়া মিয়া (এস এম আব্দুল হালিম) তোমার এই একটাই শার্ট। এর আগের মাসে ও বাড়িতে এটাই পরে এসেছিলে। বড় চাকুরী কর।”বাবার উত্তরে তিনি তিনি বলেছিলেন,” আব্বা আমার সামনে দিয়ে টাকা উড়ে আমি ধরেল দিনে ১০ টা শার্ট কিনতে পারি। আপনি শুধু দোয়া করেবন আমি যেন কোন অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেকে বিক্রি না করি দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি। সরকার আমাকে যে দায়িত্বটা দিয়েছে তা যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি। ”
জামালপুর জেলায় শুধু নয় বৃহত্তর ময়মনসিংহের গুণী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন স্বচ্ছ ইমেজের । তাঁর যোগ্যতা ,সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা, উদারতা ,মানবিক মূল্যবোধ ,বন্ধুসুলভ রাজনৈতিক আচরণ,শিক্ষাগত যোগ্যতা ,মননশীলতা, সামাজিক মূল্যবোধ যেকোনো সুস্থ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হওয়ার পরিপূর্ণ যোগ্যতার দাবিদার।