বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করল। অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ২১৯ ভোটের মধ্যে ১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক এসএলপিপি নেতা দুলাস আলাহাপ্পেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট এবং দেশটির বামপন্থী দল জেভিপি নেতা অনুরা কুমারা দেশনায়েকে পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।
দীর্ঘ আলোচনার পর শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করল। জয়ী রনিল বিক্রমাসিংহে। এর আগে একাধিকবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন তিনি। তবে রনিলকে নিয়ে দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ আছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এরপরেও শ্রীলঙ্কার অচলাবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত প্রায় ছয়মাস ধরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশের সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেছেন দেশের জনগণ। তারই জেরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন গোতাবায়ার ভাই তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দা রাজপাকসে।
প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করে নিয়েছিল জনসাধারণ। তারপরেই নতুন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। বুধবারই পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়েছে।
নির্বাচনের আগে টুইট করে বিরোধী দলনেতা ভারতের কাছে বিশেষ সাহায্য চেয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট যে-ই হোক না কেন, ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল যেন তাকে সমর্থন করে এবং শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ায়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূলত তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জনগণের একটি বড় অংশ মনে করে, সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ বিক্রমাসিংহে।
বিক্রমাসিংহের সাথে টক্কর দিয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দুলাস আলাহাপ্পেরুমা। জনগণ এবং বিরোধীদের একটি বড় অংশ তার সাথে আছে। গত সপ্তাহে তিনি সকলকে নিয়ে সরকার তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন।
সাজিথ প্রেমাদাসা প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু বুধবার তিনি দুলাসের প্রতি তার সমর্থন জানান। এ নিয়ে টুইটও করেন তিনি। বলেন, সাবেক শিক্ষা ও গণমাধ্যমমন্ত্রীকে তিনি সমর্থন করছেন।
ভারতের দক্ষিণের এই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে তেল নেই, তীব্র খাদ্য সংকট। ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। সূত্র : ডয়চে ভেলে