বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদক কারবারীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলম্বন করে আসছে। মাদক ব্যবসায়ীরা রাজধানী ঢাকাকে মাদক ব্যবসার জন্য ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা পাশর্^বর্তী দেশ হতে মাদক নিয়ে আসার পর সারাদেশে সরবরাহ করছে। র্যাব এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারীর পাশাপাশি সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ জুন ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ০৫০০ ঘটিকায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানাধীন ০৩ নং নলকুড়া ইউনিয়নের বাঐবাধা সাকিনস্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২১ বোতল ভারতীয় তৈরী বিদেশী মদ যার প্রতিটি বোতলের পরিমান ৭৫০ মি. লি.(ওল্ড মঙ্ক থ্রি রাম, ওল্ড মঙ্ক গোল্ড রিজার্ভ, ওল্ড মঙ্ক এক্সট্রা স্পেশাল, ওল্ড মঙ্ক ডিলাক্স থ্রি এক্স) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও, ৩৩ বোতল ভারতীয় তৈরী বিদেশী মদ যার প্রতিটি বোতলের পরিমান ৭৫০ মি. লি. (মেজিক মোমেন্টস্, ম্যাজিক মোমেন্টস লেমন, ম্যাজিক মোমেন্টস ড্যাজল ভ্যানিলা) সহসর্বমোট ৫৪ টি বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এসময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রধান আসামী মোঃ সোলাইমান সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-১৪, ময়মনসিং এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।