1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে রেমিটেন্স: প্রতিদিন আসছে গড়ে ১১ কোটি ডলার ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা ক্ষমতায় গেলে সরকারি ফরম থেকে ধর্মাবলম্বী অপশন তুলে দেওয়া হবে: ড. আবদুল মঈন খান যৌথবাহিনীর অভিযান: ৪ দিনে ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২৫ ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয়: বিচারক মোতাহার দীর্ঘ সাত বছর পর আজ ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন ডুবাই প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরনবী ভুইয়া দাউদকান্দিতে মহিউদ্দিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে অবরোধ পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে মার্কিন নারী নিহত গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর : কী কী নিদর্শন থাকবে

মডেল মসজিদের মাধ্যমে ইসলামের মর্মবাণী বুঝবে মানুষ : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১
  • ৭২৬ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সবচেয়ে সহনশীল ধর্ম। যে ধর্ম মানুষের অধিকার দেয়, মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরি করার শিক্ষা দেয়। সেই শিক্ষাটা যেন সবাই পায় সেটা আমরা চাই। আমি আশা করি আমাদের মডেল মসজিদের মাধ্যমে ইসলামের বাণী প্রচার হবে, ইসলামের সংস্কৃতি প্রচার হবে, ইসলামের মর্মবাণী সবাই, সব ধর্মের মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে। সেদিকে খেয়াল রেখে এটা আমাদের করা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের ৫০টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের অনেক খেদমত করে গেছেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং তিনিই ইসলামিক ফাউন্ডেশনটা তৈরি করে গিয়েছিলেন। ইসলামের প্রচার-প্রসারে বাংলাদেশও যেন ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা লেবাসসর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে।

তিনি বলেন, আমরা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, এই ইসলামের চর্চা এবং মূল্যবোধের চর্চা যেন ভালোভাবে হয়, ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ যেন হয়, ইসলামের মর্মবাণীটা যেন মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারে সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। আমরা দেখেছি ধর্মের নাম দিয়ে কীভাবে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী দেখিছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে মানুষ খুন করা, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা এবং মানুষকে খুন করলে নাকি বেহেশতে চলে যাবে; আমার প্রশ্ন যারা এ পর্যন্ত খুন-খারাপি করেছে তারা কে কে বেহেশতে গেছে সেটা কি কেউ বলতে পারবে? কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু সব থেকে সর্বনাশ করেছে পবিত্র ইসলাম ধর্মের, যে ধর্ম শান্তির ধর্ম, যে ধর্ম মানুষকে অধিকার দিয়েছে। আমি মনে করি সারাবিশ্বে সব থেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই মুষ্টিমেয় লোক জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, মানুষ হত্যা করে, বোমা মেরে, খুন-খারাপি করে আমাদের এই পবিত্র ধর্মের নামে বদনাম সৃষ্টি করছে। এটা আমাদের ধর্মের পবিত্রতা শুধু নষ্ট করছে না, ইমেজও নষ্ট হচ্ছে সারাবিশ্বে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত ওলামা, অভিভাবক, শিক্ষক সবাইকে অনুরোধ জানাব- এ পথ সর্বনাশা পথ, এটি হতে সবাই যেন দূরে থাকে সে জন্য সবাইকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ধর্মের চর্চা করতে হলে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, মানুষের কল্যাণ করতে হবে, মানুষের সেবা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের অকল্যাণ করে, মানুষ হত্যা করে, একটা পরিবারকে ধ্বংস করে বেহেশতে যেতে পারবে না। এটা ভুল কথা। মডেল মসজিদ, এই মসজিদের মাধ্যমে আমাদের ইসলাম, আমাদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দাওয়াতি কার্যক্রম সেগুলো যেন সঠিকভাবে প্রচার-প্রসার, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, এগুলো থেকে মানুষ যেন দূরে থাকে।

তিনি বলেন, মানুষ যেন আমাদের ধর্মের যে মূলকথা সেটা সঠিকভাবে শিখতে পারে, জানতে পারে। ধর্মের চর্চা করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষ যেন জানতে পারে। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে সবদিকে আমাদের ব্যাপ্তি সারাবিশ্বে। সবকিছুতেই তো মুসলমানরা আগে এগিয়ে এসেছে। সবসময় মুসলমানরাই সামনে ছিল। সভ্যতার দিক থেকে মুসলমানরা সবসময় আগে ছিল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে মুসলমানরা সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্রে, জোত্যির্বিদ্যা- সবকিছুতেই মুসলমানরা এগিয়ে ছিল। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে- বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে। আজ কেন মুসলমানরা পিছিয়ে থাকবে। সেটিই আমার প্রশ্ন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা এ মসজিদগুলো পেয়েছি, আমরা এটাই চাচ্ছি- প্রতিটি জেলা-উপজেলায়। আমরা চাই যে আমাদের পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে মানুষ সচেতন হবে। এ মসজিদগুলোতে সে ব্যবস্থা রয়েছে। আপনাদের এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে যেন ধর্মীয় দৃষ্টিতে বাল্যবিয়ে, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতা, মাদক, মাদকের হাত থেকে মানুষ যেন মুক্ত হতে পারে তার জন্য সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। এসবের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ মসজিদকে আমরা সেভাবে তৈরি করেছি।

তিনি বলেন, ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যাতে বৃদ্ধি পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা মসজিদগুলো করেছি। আজ আমি সত্যিই খুব আনন্দিত, মডেল মসজিদগুলো হতে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী প্রচার হবে, ইসলামের সঠিক জ্ঞানচর্চা হবে, মুসলমানরা আরও সচেতন হবে, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com