1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে – আমিনুল হক বীরগঞ্জে বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএনপি রাজনীতি মানুষের ভোটের অধিকারের রাজনীতি —-বেনজীর আহমেদ টিটো হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জনসচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা *বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিল* আবু নাছির আহম্মেদ আজ লামা উপজেলায় জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে বিএনপির ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়। রাজশাহী ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন পদ্মার গোয়ালন্দ থেকে পাকশী চ্যানেলে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার রাজধানীতে গরিব-দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলেন যুবদল নেতা মিরাজ

ব্রিটেনের আদালতে কাঁদলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এমপি আপসানা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
  • ১৭৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগমের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের এক আদালতে জালিয়াতির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা থেকে তিনি নির্দোষ বিবেচনায় খালাস পেয়েছেন।

আদালত যখন তাকে নির্দোষ বলে রায় দেন, তখন আপসানা বেগমকে কাঠগড়ায় কাঁদতে দেখা যায়। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই মামলার কারণে তার সুনামের বিরাট ক্ষতি হয়েছে এবং তাকে বিরাট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

আপসানা বেগম পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম আসনের এমপি। তিনি লেবার পার্টির টিকেটে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনি অসত্য তথ্য দিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কাছ থেকে আবাসন ভাতা নিয়েছিলেন।

শুক্রবার লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুক কাউন্টি আদালতকে আপসানা বেগম জানিয়েছেন, তার আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করতেন তার স্বামী, যিনি সবকিছু ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চান। তার নামে আবাসনের আবেদনটি করা হয়েছিল, এটা জানার পর তিনি ‘অবাক’ হয়েছিলেন। আপসানা বেগম আরও অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পেছনে ‘হীন অভিপ্রায়’ কাজ করেছে।

আপসানা বেগম বলেন, তিনি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার এক নারী। তার বিরুদ্ধে এরকম হয়রানিমূলক অভিযোগ আনার পর গত ১৮ মাস ধরে তাকে অনলাইনে অনেক নারী-বিদ্বেষী এবং ইসলাম-বিদ্বেষী মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাকে অনেক রকম হুমকি দেয়া হয়েছে। তার জন্য এটি ছিল খুব কঠিন একটা সময়।

তিনি আরও বলেন, অন্য কেউ যেন এরকম ঘটনার শিকার না হন, কীভাবে তা নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়ে তিনি ভাববেন।

আপসানা বেগম ২০১৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে পপলার এন্ড লাইম আসনে জয়ী হন। ২০১১ সালের ২২ জুলাই তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের হাউজিং রেজিস্টারে তালিকাভুক্ত হন আবাসন সুবিধার জন্য।

তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা ছিল ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারী হতে ২১শে মে, ২০১৩ সালের ২১শে মে হতে ২০১৪ সালের ২৪শে মে, এবং ২০১৫ সালের ২৮শে অক্টোবর হতে ২০১৬ সালের ২১শে মার্চ সময়কালে নেয়া আবাসন সুবিধার জন্য।

অভিযোগ করা হয়েছিল, আপসানা বেগম প্রথম আবাসন সুবিধা নিয়েছিলেন তিন বেডরুমের একটি জনাকীর্ণ বাড়িতে থাকেন বলে। এই দাবির কারণে তিনি আবাসন প্রার্থীদের তালিকায় অগ্রাধিকার পেয়েছিলেন।

তবে ২০০৯ সালে আপসানা বেগমের এক আত্মীয়া যে আবেদন করেন, তাতে বলা হয়েছিল, বাড়িটিতে চারটি বেডরুম আছে।

কিন্তু আপসানা বেগম আদালতকে জানান, এই বাড়িতে বেডরুম ছিল আসলে তিনটি, এবং সেখানে থাকার সময় তার নিজের কোন আলাদা বেডরুম ছিল না।

তবে কেন তার এক আত্মীয়া বাড়িটিতে চারটি বেডরুম ছিল বলে দাবি করেন, তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি। আপসানা বেগম পরে তার তৎকালীন স্বামী এহতাশামুল হকের সঙ্গে ভিন্ন একটা বাড়িতে চলে যান। তবে তিনি বিষয়টি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলকে অবহিত করেননি বলে অভিযোগ করা হয়। এই বাড়িতে তিনি দুই বছর ছিলেন।

এই সময়কালে আপসানা বেগমের নামে আবাসন সুবিধা চেয়ে কাউন্সিলে আবেদন করা হয়। আপসানা বেগম এসব আবেদন করার কথা অস্বীকার করছেন।

তিনি আদালতকে বলেন, এসব আবেদনের রেকর্ড দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। আদালতে জুরিরা আপসানা বেগমকে নির্দোষ বলে মত দেয়ার পর বিচারক তার পক্ষে রায় দেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com