রোববার সব জ্যেষ্ঠ সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) ও সচিবকে চিঠি দিয়ে সভায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে গত ১২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার অধীন ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সভার আলোচ্যসূচিতে সরকারের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনপ্রশাসনের ভূমিকার বিষয়টি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সার্বিক বিষয় আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন সরকারপ্রধান।
সচিব পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়গুলো কীভাবে গতিশীল করা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ গুম-খুন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে সরকারের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় হতে পারে। এ ছাড়া দুর্নীতি কীভাবে রোধ করা যাবে, তা নিয়ে সচিবদের মতামত চাওয়া হবে। দুর্নীতি নিয়ে দেওয়া হবে কঠোর বার্তা।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার থেকে রাজধানীর তেজগাঁও অবস্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অফিস শুরু করেছেন। এখন থেকে এটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং তখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অফিস করছিলেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দিন গণভবনসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে স্থাপনাগুলো কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। টানা ১৫ দিন সংস্কারকাজ করে প্রস্তুত করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কার্যালয়। ইতোমধ্যে কার্যালয়ের বাইরে-ভেতরে নামফলক পরিবর্তন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রধান উপদেষ্টার সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার বসার কক্ষও মেরামত করা হয়েছে।