বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও আলোচনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিএনপির চলমান সহিংস আন্দোলন নিয়ে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে গত ২৮ অক্টোবর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালনের আড়ালে যানবাহনে আগুন দেয়া ও ভাঙচুর চালিয়ে যাচ্ছেন অবরোধকারীরা। এসব ঘটনায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও অজানা কারণে অনেকটা নিশ্চুপ রয়েছে মানবাধিকারের সবক দেয়া পশ্চিমারা।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচির নামে সহিংসতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান এক বাংলাদেশি সাংবাদিক। তিনি মিলারকে প্রশ্ন করেন- ‘বিএনপি যেভাবে ‘সহিংসতাকে’ বেছে নিয়েছে, আপনার কী মনে হয় না এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করছে দলটি?’
স্পষ্টভাবে প্রশ্ন করা হলেও উত্তরটি ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়েই দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই, নির্বাচনটি যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এটাই আমাদের নীতি, যা এর আগেও বেশ কয়কবার আমি স্পষ্ট করেছি।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশার পুরানো বুলি আওড়ালেও বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াওসহ সহিংসতার বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি। এ নিয়ে আগেই স্পষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি করলেও, আসলে স্পষ্ট হয়নি তার অবস্থান।
এর আগে ২০ নভেম্বর বাংলাদেশি এক সাংবাদিক জাতীয় নির্বাচন নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।