1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিক অধিকার বাস্তবায়ণ সংস্থার মিলন মেলার জমকালো অনুষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ৬৭ তম আখ মাড়াই মৌসুম শুরু উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের বাংলাদেশ গড়তে পারলেই আত্মত্যাগ সার্থক: রাষ্ট্রপতি কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র’ মারা গেছেন কবি হেলাল হাফিজ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিয়ের ৬ বছর পর একসাথে ৪ সন্তানের মা হয়েছেন অনন্যা তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললো বিএনপি তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে কয়েক দিন

ফোনে মিতুর শেষ আর্তনাদ ‘আব্বা আমারে বাঁচান…’

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১
  • ২২৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : একটি কল। একটি জীবনের শেষ আর্তনাদ। বেঁচে থাকার আকুতি। ‘আব্বা আমারে বাঁচাও, আর এক মিনিট এইহানে থাকলে আমি মইরা যামু, লগের তারা অনেকেই মইরা গেছে। কয়েকজন বাইচ্চা আছি আমরা। আমাগো উদ্ধার করো, আব্বা আমাগো বাইর করো’। ১৯ বছর বয়সী কন্যা মিতুর আর্তনাদ শুনে কলিজাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিলো পিতা বেলাল হোসেনের। মেয়ে আর্তনাদ করছে বাবার কাছে।

এই আর্তনাদ বাঁচার জন্য। কী করার আছে তার, তিনি জানেননা। তবু চিৎকার করে বলেছেন, ‘মাগো ও মা আমি আইতাছি, আল্লাহ আল্লাহ কর মা। তোর কিচ্ছু হবে না। আগুন তোরে কিচ্ছু করবে না মা।’ কিন্তু আগুন কী তা বোঝে। ফোনের ওপর প্রান্তে তখন নিস্তেজ গোঙ্গানির শব্দ পান বেলাল। ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বেলালের শরীরেও যেনো আগুন লেগেছে। দৌড়ে ভবনে ঢুকতে চান তিনি। কোনো বাধা মানতে চান না। কিন্ত পুলিশ আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাধায় তা হয়ে উঠেনি। ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বেলাল কল দেন বারবার। না, কেউ রিসিভ করে না। ফোন ধরে কেউ আব্বা বলে ডাকে না তাকে।
১৫ মিনিট পর মেয়ে মিতুর মোবাইলফোনটি বন্ধ পান তিনি। বৃহস্পতিবার, রাত তখন আটটা। ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপের সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডের কারখানায়। ওই কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় কাজ করতেন মিতু।

পাশের পোশাক কারখানার শ্রমিক বেলালের দুই সন্তান। বড় মেয়ে খাদিজাও কাজ করেন ওই কারখানায়। রাতের শিফটে ডিউটি থাকায় খাদিজা তখন ছিলেন বাসায়। মিতু ছিলেন ডিউটিতে। স্বল্প আয়ের সংসার বেলালের। তিন বছর আগে ওই কারখানার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তার দুই মেয়ে। ঈদের পরেই দুই মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিল পিতা বেলালের। নিজেদের বিয়েতে দরিদ্র পিতার যেনো আর্থিক কষ্ট পোহাতে না হয়, ঋণগ্রস্ত হতে না হয় সেজন্য ওভার টাইমও টিউটি করতেন মিতু ও খাদিজা। গতকাল ৫২ জনের লাশ পাওয়া গেলেও আগুনে পুড়ে যাওয়ায় চেনা সম্ভব হয়নি মিতুকে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গড়াগড়ি দিতে দিতে ‘মা ও মারে..’ বলে বুকফাটা চিৎকার করছিলেন বেলাল। বেলালের বাড়ি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নসিপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন যাবত পরিবার নিয়ে রূপগঞ্জে থাকেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com