বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য মানুষের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য তৃণমূলের কাছে আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না। এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আমি আহবান জানাচ্ছি।
সোমবার ( ৪ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে প্রয়াত সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের স্মরণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করতে হবে, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয়। অনেকেই ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে যায়, যা মোটেই কাম্য নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার না করতেও দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দেন তিনি।
রাজনীতিতে ভালো মানুষদের সাথে রাখার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খারাপ মানুষ দিয়ে রাজনীতি করলে দল নষ্ট হয়ে যাবে। দুঃসময়ে বসন্তের কোকিলরা দলে থাকবে না,ত্যাগীরাই সুখে-দুঃখে দলের পাশে থাকবে, তাই সৎ ও ভালো মানুষদের দলে টানতে হবে।
তিনি বলেন, ৭৫ এর পর দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো তার রেশ এখনও রয়ে গেছে৷ ৭৫’র হত্যাকান্ডে কারা জড়িত ছিলো? কে নেপথ্যে ছিলো? সেই ইতিহাস সবাই জানে- যা কখনো ভুলে যাবার নয়। জিয়া যেমন ৭৫’র হত্যাকান্ডের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্টে তারেক রহমান ছিলেন মাস্টার্স মাইন্ড।
ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজো আমরা প্রতিহিংসার বৃত্ত থেকে বের হতে পারি নাই। ৭৫ ও ২১ আগস্ট ঘটনায় পারস্পরিক সম্পর্কের দেয়াল আরো উঁচুতে নিয়ে গেছে। আর জিয়াউর রহমান দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছিলেন আর বিএনপি এখনো তা অব্যাহত রেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের যে কর্মসম্পর্ক তা নষ্ট করে দিয়েছে বিএনপি। একজন প্রধানমন্ত্রীর কয়টা জন্মদিন থাকতে পারে? এটা কি প্রতিহিংসা নয়? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে খোঁচা দিতে বেগম জিয়া এই ভূয়া জন্মদিন পালন করেন। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে কিভাবে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখবো?
বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক কর্ম-সম্পর্কের বিষয়টি অনুপস্থিত, কিন্তু কেনো? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করা আমাদের এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপনকে একজন সফল রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করে বলেন, একজন নির্লোভ নিরহংকার নেতা ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন স্বপন। হাসিবুর রহমান স্বপনের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
শাহজাদপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা,সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার এবং সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়,ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত মুন্না, ডাক্তার আবদুল আজিজ,তানভীর ইমাম,আবদুল মমিন মন্ডল, ও শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।