বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঈদের ছুটির পর শিল্প-কারখানাগুলো চালু হচ্ছে। তাই গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলে লোড শেডিং শুরু হয়েছে। যদিও রাজধানীতে এখনো বলার মতো লোড শেডিং নেই।
তবে আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি ঈদের আগের পর্যায়ে চলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গত মঙ্গলবার থেকে অফিস-আদালত খোলা হলেও এখনো বেশির ভাগ শিল্প-কারখানা চালু হয়নি। আগামী রবিবার থেকে কারখানাগুলো পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। তখন থেকে আবার বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আগের মতো হয়ে যাবে।
চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোড শেডিংয়ে যেতে হবে বিতরণ কম্পানিগুলোকে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ফের স্বাভাবিক হবে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও সরবরাহ অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশও সমস্যায় পড়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবির) কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এর প্রায় পুরোটাই সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্প-কারখানা এখনো পুরোপুরিভাবে চালু না হওয়ায় আমরা মোটামুটি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। তার পরও বিভিন্ন এলাকায় লোড শেডিং হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে যাবে। তখন আবার লোড শেডিং শুরু হবে। ’ তিনি বলেন, ‘রবিবারের পর বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে চলে যাবে। গ্যাসের সংকট থাকায় সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ’
এদিকে ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে গতকালও তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছে। তাই রাজধানীতে তাদের বিতরণ এলাকায় কোনো লোড শেডিং ছিল না।
জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘এখন বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকায় কোথাও লোড শেডিং করতে হচ্ছে না। আজ (গতকাল) আমাদের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল এক হাজার ২০ মেগাওয়াট। চাহিদার পুরোটাই আমরা সরবরাহ করেছি। স্বাভাবিক সময়ে আমাদের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। ’ তিনি বলেন, ‘আগামী রবিবার থেকে বিদ্যুতের চাহিদা আগের অবস্থায় চলে যাবে। ’
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করি, আর বাকি ২০০ কখনো কখনো তা ২৫০ মিলিয়নও হয়, সেটা আমরা স্পট মার্কেট (খোলাবাজার) থেকে আমদানি করতাম। এখন বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ রেখেছি। এর ফলে কিছুটা গ্যাস ঘাটতি হলেও বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের পুরো দায় গ্যাস ঘাটতি নয়, তেলের ঘাটতির কারণেও পিডিবি পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। ’