বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন পেশাজীবী নেতারা। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলও দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান তারা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘নির্বিচারে পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন বন্ধ, একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন পেশাজীবী নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। দেশের মানুষ কখনোই সেই ধরনের নির্বাচন চায় না। জনগণ চায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। তারা চায় অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও শিক্ষককে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে।
নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আবদুল কুদ্দুস বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আজকে বিএনপির সকল কার্যালয়ে তালা দেয়া হয়েছে। এদিকে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা পেশাজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের দাবি হলো-বর্তমানে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি ও ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। এটা হচ্ছে দেশের জনগণের প্রধান দাবি।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজকে পেশাজীবীদের নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। কারণ আমরা জনগণের পক্ষে ও গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলি। আপনারা পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার করবেন আবার নির্বাচন করবেন। এটা ভুলে যান যে দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। সুতরাং নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন। পেশাজীবীদের ওপর হামলাসহ নির্যাতন বন্ধ করুন এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।
বিএসপিপির সাবেক আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সভাপতি প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক শামসুল আলম ও অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ডা. এমএ সেলিম, ডা. শহিদ হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম প্রমুখ।