বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (জিএমটি ৫.০০) থেকে গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। আর প্রথম দিন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ১৩ বন্দীকে মুক্তি দেবে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং হামাসের সামরিক শাখার পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি হবে কেবল ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে। কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় এই সমঝোতা হয়।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা প্রকাশ করেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর নিশ্চিত করে বলেছে যে যাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে, তাদের ‘প্রাথমিক’ তালিকা তারা পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তালিকাটি যাচাই বাছাই করে দেখছেন।
অন্য দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং তা চার দিন স্থায়ী হবে। তারা জানায়, চার দিনে মোট ৫০ জন বন্দীকে তারা মুক্তি দেবে। আর ইসরাইল প্রতি ইসরাইলি বন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে থাকা তিনজন করে ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। অর্থাৎ হামাস ৫০ জনকে মুক্তি দেবেন, বিনিময়ে ইসরাইল মুক্তি দেবে ১৫০ জনকে।
এছাড়া এই বিরতির সময় গাজায় বিপুল পরিমাণ জ্বালানি এবং অন্যান্য সহায়তা প্রবেশ করবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলার পর এই প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। হামাসের ওই হামলায় ইসরাইলে ১২ শ’ লোক নিহত হয়। এছাড়া তারা প্রায় ২৪০ জনকে ধরে আনে। এর পর থেকে ইসরাইল অব্যাহতভাবে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের আক্রমণে নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আনসারি বলেন, যুদ্ধবিরতি হবে কেবল গাজা উপত্যকায়। আমরা অন্যান্য ফ্রন্টের কথা আলোচনা করিনি। আমরা গাজা পরিস্থিতি নিয়েই বিশেষভাবে কথা বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই যুদ্ধবিরতি আরো দীর্ঘ করার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য