মঈন মাহমুদ: খাদ্য নিয়ে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন করা যাবে না , বিজ্ঞাপন নিয়ন্তনে বিধিমালাও তৈরি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর বিএসএমএমইউর হলে ‘ইনসিউরিং ফুড সেফটি এন্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ: স্মার্টেস্ট স্ট্যাসেজিকস ফর আনএক্সপিক্টেড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
(বিএসএমএমইউ)র উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট) অধ্যাপক ডা. মো মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন প্রমুখ।
ইসমাইল হোসেন বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ খাদ্য নিরাপত্তা। বর্তমানে যুক্ত হয়েছে নিরাপদতা। খাবার ব্যক্তিকে চালিত করে ও বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করতে সহায়তা করে। আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের ৭০ দশকের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না বরং উন্নতির দিকে যেতে হবে। সমাজে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা ফুসকা, চটপটি বন্ধ করতে চাই না বরং তাদের খাদ্য নিরাপদ করতে হবে।
মানুষকে সচেতন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যারা খাদ্য নিয়ে গবেষণা করছে তাদের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। কেননা দেশের বাজারগুলো ভরে গেছে ক্লিনিক ও ফার্মাসিতে। সারাবিশ্ব যে সংখ্যক ওমিপাজল যা বিক্রি হয় তার বেশিসংখ্যক ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহার হয়। ডাক্তাররা অপ্রয়োজনেও এসব ট্যাবলেট দিচ্ছেন। এতে মানুষের মধ্যে রোগবালাই বাড়ছে। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে বলেন, কোন কোন পরিবারে ৪ সদস্যের জন্য ১০ লিটার তেল ব্যবহার করছে। এতে রোগবালাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। খাদ্য নিরাপদতা নিশ্চিত করতে ডাক্তার ও গবেষকদের কাজ করতে হবে।
ফুড সেফটি ও বাজারজাতে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কাজ করে। সকলকে নিয়ে একটা ট্রাস্কফোর্স করা হবে। সিঙ্গেল ফুড লাইসেন্স শুরু করা হবে। ইন্দোনেশিয়া এ কাজ করছে। যে খাবার যে তাপমাত্রায় থাকার কথা সেখানে সেটি না থাকলে সমস্যা তৈরি হবে। ঢাকায় নিরাপদ কোন ল্যাবই নাই। এতে জানা যাচ্ছে না কোন খাদ্য নিরাপদ। এজন্য দেশের ৮বিভাগে ৮টি ল্যাব তৈরি করা হবে ও ঢাকায় সেন্ট্রাল ল্যাব থাকবে।
আমাদের হাঁড়ি-পাতিলেও লেড রয়েছে এটির পরিমাণ কত তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। পিভিসি পাইপ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু আমরা বাসাবাড়িতে এসব ব্যবহার করছি। তিনি বলেন, মিথ্যা বিজ্ঞাপন পরিবর্তন ও সংশোধন করতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যাতে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেওয়া না হয় সে জন্য কাজ করা হবে।
অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, শুধু খাদ্য নিরাপদ করলেই হবে না বরং আমাদের বাথরুম ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সকল মহলের সহযোগিতা দরকার।
সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, খাদ্য নিয়ে বাংলাদেশের একেক আইনে একেক ধরনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য শুধু নিরাপদ হলেই চলবে না সেখানে প্রাপ্ততাও নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিবহন, গুদামজাত এবং বাজারজাত পর্যন্ত নিরাপদ হতে হবে।