বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কানাডার দক্ষিণ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় তীব্র তাপদাহে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার অধিকাংশই বয়স্ক ব্যক্তি। খবর বিবিসি বাংলার
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসব মৃত্যুর পেছনে অন্যতম কারণ ঐ অঞ্চলের তাপদাহ।
মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মত কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটন গ্রামে। ঐ এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। চলমান সপ্তাহের আগে কখনোই কানাডার কোন অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেনি।
কানাডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ‘এনভায়রনমেন্ট কানাডা’ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অ্যালবার্টা প্রদেশ এবং সাসকেচুয়ান, নর্থওয়েস্টার্ন টেরিটোরিস এবং ইউকন প্রদেশের কিছু এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এই তাপদাহ কতটা প্রভাব ফেলেছে?
১৯৪০ সালে নথিবদ্ধ করা শুরু করার পর এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ও সিয়াটলের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস’ এর তথ্য অনুযায়ী, ওরেগনের পোর্টল্যান্ডের তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১১৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং সিয়াটলের তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়তে থাকলে এই ধরণের তাপদাহ সৃষ্টি হওয়ার হারও বাড়তে পারে। তবে যে কোন একটি ঘটনার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করাও পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।