1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটে প্লাবিত শত শত বসতঘর

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১
  • ২৪৬ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্কঃ  ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। ম্যানগ্রোভ এই বনের দুবলায় ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের সব থেকে উঁচু এলাকা করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রেও পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এই কেন্দ্রের বন্যপ্রাণীগুলো এখনো নিরাপদ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ফুঁসে উঠেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নদ-নদী। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার শত-শত বাড়ি-ঘর। প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট শহরের রাস্তাঘাটও। তলিয়ে গেছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার। মোংলা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কসহ নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।

পশুর নদীর পাড়ের কানাইনগর, চিলা, কলাতলা, সুন্দরতলা, জয়মনি এলাকার নিচু এলাকা দেড় থেকে দুই ফুট কোথাও কোথাও এর বেশিও পানি উঠেছে। রাতের জোয়ারে আরও বেশি পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় হুমকির মুখে রয়েছে জেলার হাজার-হাজার চিংড়ি খামার।

এদিকে, শরণখোলায় বলেশ্বর নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিকেল তিনটার দিকে রায়েন্দা বাজার দাখিল মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু লোক সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ তাদের ঘরের মালামালসহ শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে আগতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ওষুধ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা-সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, সুন্দরবনের দুবলায় ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। দুবলায় সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে। দুবলা টহল ফাঁড়ির ১০জন স্টাফ দুবলা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। সুন্দরবনে অন্যান্য বন অফিসের সদস্যরাও সুন্দরবনের কোস্টগার্ডের আলোরকোল, কোকিল মনি, সুপতি ও ডুমুরিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এক থেকে দেড় ফুট পানি উঠেছে। আরও এক ফুট পানি উঠলেও এই প্রজনন কেন্দ্রর বন্যপ্রাণী হরিণ, কুমির ও বিলুপ্ত-প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুল বাচকা রক্ষা করা আমদের জন্য সম্ভব হবে। পানি আরও বাড়লে বন্যপ্রাণীগুলোর কি অবস্থা হবে তা বলা সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com