ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রবিবার থেকে ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট শুরু হতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রসহ অনেকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
ই-ক্যাব সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। ডাব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও স্লটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানির হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে এটুআইয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম একশপ।
ই-ক্যাব জানায়, নির্দেশনায় জড়িত পক্ষগুলোর দায়দায়িত্ব এবং পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই প্ল্যাটফর্মে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএর অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠান শুধু অংশ নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা পশু বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে জুম অনলাইনে অনুষ্ঠিত একসভায় ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেছিলেন, ‘এই হাট যেহেতু ঈদকেন্দ্রিক এবং এবার করোনা মহামারির প্রকোপও বেড়েছে, তাই আমরা চাই ক্রেতারা অনলাইন থেকে নিরাপদে পশু ক্রয় করুক। আমরা গতবার প্রান্তিক চাষিদের যুক্ত করলেও এবার যাচাই-বাছাই করা কঠিন হবে। আমরা শুধু ভেরিফায়েড বিক্রেতাদের সুযোগ দিচ্ছি।’
সভায় ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা সরকারের এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নিয়ে ডিজিটাল হাট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে এবার আমরা ক্রেতা-বিক্রেতার সংযোগ ঘটিয়ে দেব। ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তা দিতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় সাময়িক স্ক্রো সেবা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।’